বিয়ের আর বেশি দেরি নেই। নিজের পোশাকের পাশাপাশি বান্ধবীদের পোশাকও বেছে ফেলেছেন পাত্রী। কাছের বান্ধবীদের ‘ব্রাইডমেড’ হওয়ার জন্য নিমন্ত্রণও করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু এক পুরনো বান্ধবীকে নিয়েই সমস্যা শুরু হল পাত্রীর। ২০ বছরের বন্ধুত্ব তাঁদের। কিন্তু বিয়ের ছবিতে পুরনো বান্ধবীকে রাখতে চান না পাত্রী। সে কথা কানাঘুষোয় জানতে পেরে অবাক হয়ে যান তরুণী। পরে পাত্রী সরাসরি তাঁর বান্ধবীকে বিয়েতে কোনও ছবি না তোলার নির্দেশ দেন। আসল কারণ শুনে অবাক হয়ে যান তরুণী। সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
রেডিটের পাতায় নামোল্লেখ না করে বান্ধবীর বিয়ে নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন এক তরুণী। তিনি লন্ডনের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে ২০ বছরের বন্ধুত্ব রয়েছে এক তরুণীর। বিয়ে উপলক্ষে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন তরুণী। তাঁকে ‘ব্রাইডমেড’ হওয়ার অনুরোধও করেছেন বান্ধবী। ‘ব্রাইডমেড’দের সঙ্গে পোজ় দিয়ে প্রচুর ছবি তোলার চল থাকায় মানানসই পোশাকও পরতে হয় পাত্রীর বান্ধবীদের। কিন্তু বান্ধবী নাকি তরুণীকে বিয়ের ছবি থেকে বাদ দিতে চান। সে কথা অন্য বান্ধবী মারফত জানতে পেরেছিলেন তরুণী। কিন্তু তাঁর বান্ধবী হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন নেবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না তরুণী। পরে পাত্রী সরাসরিই তরুণীকে বিয়ের ছবিতে না থাকার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:
পাত্রীর ইচ্ছা, তিনি যখন ‘ব্রাইডমেড’দের সঙ্গে ছবি তুলবেন, তখন যেন সেই ছবিগুলিতে তরুণী অনুপস্থিত থাকেন। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণও জানালেন পাত্রী। পাত্রীর দাবি, তরুণী যদি তাঁর সঙ্গে ছবি তোলেন, তা হলে সকলে তাঁর বান্ধবীর দিকেই তাকাবেন। পাত্রীকে নাকি কেউ লক্ষ করবেন না। পাত্রীর মতে, তাঁর বান্ধবী তাঁর তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়। তাই তিনি বিয়ের ছবি তুললে মধ্যমণি হয়ে উঠবেন। জীবনের এই বিশেষ দিনে অন্য কেউ প্রাধান্য পান, তা চান না পাত্রী।
আসলে, তরুণীর পুরো হাত জুড়ে উল্কি আঁকা রয়েছে। তা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পাত্রী এবং তাঁর অন্য বান্ধবীদের শরীরেও উল্কি আঁকা, তবে সেগুলির আকার অনেকটাই ছোট। বান্ধবীর পুরো হাত জুড়ে উল্কি আঁকা থাকলে তা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে, সেই আশঙ্কায় তরুণীকে বিয়ের ছবি থেকেই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাত্রী।
AITAH for considering not going to a wedding because I was told my tattoos will ruin the pictures?
byu/suziewoozie420 inAmItheAsshole
তরুণী পুরো ঘটনাটি জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমার খুব খারাপ লেগেছে। ২০ বছরের বন্ধুত্বের কোনও দাম নেই মনে হচ্ছে। তবে, বান্ধবীর জীবনের বিশেষ দিনে আমার জন্য কোনও অশান্তি হোক তা চাই না। যদি আমায় বিয়ের ছবি থেকে বাদ দিয়ে ওর মন ভাল থাকে, তা হলে তা-ই হবে।’’ এই পোস্টটি দেখে এক জন নেটাগরিক ক্ষোভপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আপনার বান্ধবী আপনাদের বন্ধুত্বের সম্মান করেন না। সামান্য উল্কির জন্য বিয়ের ছবি থেকে আপনাকে সরিয়ে দেওয়া মোটেই উচিত কাজ নয়।’’
আবার এক জন নেটব্যবহারকারী ওই তরুণীর প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘‘আপনি সত্যিই খুব ভাল মনের মানুষ। নিজের খারাপ লাগাকে পার করেও বান্ধবীর সুখের কথা চিন্তা করছেন। পাত্রী অনেক ভাগ্যবতী যে, আপনার মতো বান্ধবী পেয়েছেন। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের কোনও মর্যাদা দিতে শেখেননি।’’