শ্রদ্ধা কপূর এবং রাজকুমার রাও অভিনীত ছবি ‘স্ত্রী’র সেই দৃশ্য মনে আছে? যেখানে প্রেতাত্মার হাত থেকে বাঁচতে গভীর রাতে মহিলাদের পোশাক পরে বাইরে বার হতেন পুরুষেরা। এ বার সিনেমার সেই গল্পের দেখা মিলল বাস্তবেও। ভূতের ভয়ে গত ৩৬ বছর ধরে মহিলা সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের এক প্রৌঢ়। শুধু মহিলা সাজছেনই না, মহিলাদের মতো জীবনযাপনও করছেন।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ় ১৮’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাড়ে তিন দশক আগে শাড়ি পরা শুরু করেন ওই ব্যক্তি। এ নিয়ে অনেক বিদ্রুপের শিকার হলেও শাড়ি পরা তিনি ছাড়েননি। তাঁর দাবি, একটি আত্মা তাঁকে ক্রমাগত হয়রান করছিল। তাঁর মনে হয়েছিল, মহিলা সেজে থাকলে ভূতের উপদ্রব থেকে নিস্তার পাবেন তিনি। কিন্তু কার ‘আত্মা’ তাঁকে ওই ভাবে বিরক্ত করছিল?
প্রৌঢ়ের দাবি, তিনি তিন বার বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গিয়েছেন। সেই স্ত্রীর আত্মাই নাকি তাঁকে কষ্ট দিচ্ছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, মৃত্যুর পর থেকেই নাকি তাঁকে হয়রান করছে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মা। মহিলাদের মতো করে বাঁচতে বাধ্য করেছেন তাঁকে। প্রৌঢ় আরও জানিয়েছেন, তাঁর নয় সন্তানের মধ্যে সাত সন্তানও মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে সমাজমাধ্যমে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। যদিও নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, ওই প্রৌঢ় মানসিক ভারসাম্যহীন। আর সে কারণেই ওই সব কথা বলেছেন। প্রৌঢ়ের সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন বলেও দাবি করেছেন অনেকে। কিন্তু প্রৌঢ় কি সত্যিই মানসিক রোগী? না কি তিনি সত্যি কথা বলছেন? এ নিয়েও তর্ক জুড়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।