বিয়ে করার, একসঙ্গে বাঁচা-মরার কথা দিয়েছিলেন একে অপরকে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রাখেননি প্রেমিকা। মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে কথা রাখতে শেষকৃত্যের আগে প্রেমিকার মরদেহেই সিঁদুর পরালেন এক যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে। যদিও কী করে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। মৃত প্রেমিকার সিঁথিতে ওই যুবকের সিঁদুর পরানোর একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। মনখারাপের সুর বেজেছে নেটপাড়ায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অদ্ভুত এবং আবেগঘন ঘটনাটি ঘটে মহারাজগঞ্জের নিচলাউল এলাকায়। প্রেমিকার শেষকৃত্যের আগে তাঁর বাড়িতে পৌঁছোন ওই যুবক। প্রেমিকার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন তিনি। শেষকৃত্যের আগে মৃতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতে চান তিনি। এ নিয়ে তরুণীর পরিবার আপত্তি জানালেও কারও কথা শুনতে রাজি হননি যুবক। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমি ওকে আমার স্ত্রীর মর্যাদা দেব। আমি কথা রাখব।’’ এর পরেই প্রেমিকার মৃতদেহে সিঁদুর পরাতে যান তিনি। সেই দৃশ্য দেখে তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর পর মৃতা তরুণীর পরিবারের তরফেই এক পুরোহিতকে ডাকা হয়। পুরোহিতের উপস্থিতিতে কাঁপা হাতে মৃতার সিঁথিতে সিঁদুর দেন যুবক। কান্নায় ভেঙে পড়েন। শোকে আকুল হন তরুণীর পরিবারের সদ্যস্যেরাও। সেই ঘটনার ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ওই যুবক শহরে একটি দোকান চালাতেন। অনেক দিন ধরেই মৃতা তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। তরুণীর পরিবার প্রাথমিক ভাবে রাজি না থাকলেও পরে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেন। তাঁদের বিয়ের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই আকস্মিক ভাবে মৃত্যু হয় তরুণীর। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হলেও পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত করেছে।
নিচলাউলের স্টেশন হাউস অফিসার অখিলেশ বর্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমরা এক তরুণীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে আরও তদন্ত চলছে।”
আরও পড়ুন:
মৃত তরুণী এবং তাঁর প্রেমিকের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সেটি পোস্ট করা হয়েছে ‘অম্বুজ মিশ্র’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। হৃদয়বিদারক সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। দুঃখপ্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘ভিডিয়োটি দেখে চোখে জল এল। আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত।’’