পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে মিথ্যা ভাষণ দিচ্ছেন। নিজেদের দেশের মানুষদের মিথ্যার অন্ধকারে রেখে ঠকাচ্ছেন খোয়াজা আসিফ। এমনই দাবি উঠল, পাকিস্তানের আইনসভায় পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তৃতার পর। সেই ভিডিয়োয় বক্তৃতা করার সময় আসিফকে দাবি করতে শোনা গিয়েছে যে, ভারত-পাক সংঘাতে পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তি চমকে দিয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন স্টে়ডিয়ামের আলো নিবিয়ে নাকি ভারতে চলা আইপিএল বন্ধ করে দিয়েছেন পাক ‘সাইবার যোদ্ধা’রা। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ-হেন বক্তৃতার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে। হাসির রোল উঠেছে সমাজমাধ্যমে। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, প্রমাণ ছাড়া এ ভাবে ভুয়ো দাবি করে পাকিস্তানের জনগণকে ঠকাচ্ছেন আসিফ। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে ‘টুপি পরাচ্ছেন’ খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োই দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘যে সব দেশের কাছ থেকে আমরা যুদ্ধবিমান নিয়েছি, তারাও অবাক যে আমরা কী প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছি। আমাদের প্রযুক্তির বিষয়ে ওরাও জানে না। আমাদের ছেলেরা, আমাদের সাইবার যোদ্ধারা ম্যাচ চলাকালীন আলো নিবিয়ে আইপিএল বন্ধ করে দিয়েছে, ভারতের বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
আসিফের সেই বক্তৃতার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আর তার পরেই নেটাগরিকদের একাংশের কাছে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন তিনি। ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘বালা’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই পাক নেটাগরিকদের অনেকে আবার ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন। কোনও প্রমাণ ছাড়া দেশবাসীর কাছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞেরাও নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তানের হ্যাকিংয়ের জন্য কোনও আইপিএল ম্যাচ বা জল ব্যবস্থার পরিকাঠামো ব্যাহত হয়নি। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘সরকার ভাল হলে মিথ্যা বলতে হয় না, নাটক করতে হয় না। খারাপ সরকারের অধীনে সেগুলিই করে জনগণের সমর্থন আদায় করতে হয়।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ধীরে ধীরে কমেডি শোয়ে পরিণত হচ্ছে। কী সব ভুলভাল বকছে। নেশা করেছে মনে হয়।’’ এক পাক নেটাগরিক আবার লিখেছেন, ‘‘দেশপ্রেমের ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।’’