নিমন্ত্রণরক্ষা করতে এক পরিচিতের বিয়েতে গিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে সেই বিয়েবাড়ি ছাড়লেন তিনি। কিন্তু কেন? তরুণীর দাবি, তিনি বিয়েবাড়িতে পা দেওয়া ইস্তক পাত্রী তাঁর পোশাক নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। সকলের সামনে অপদস্ত করেন তাঁকে। তার পরেই মনখারাপ করে বিয়েবাড়ি থেকে তিনি বেরিয়ে যান। সমাজমাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তরুণী নিজেই।
আরও পড়ুন:
অ্যালিস ব্রাউন নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, স্বামীর বন্ধুর বিয়েতে নিমন্ত্রণরক্ষা করতে গিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য ঘণ্টা দুয়েক সফর করতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই তাঁর পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করেন পাত্রী। তাঁর স্বামীর পোশাক নিয়েও কটাক্ষ করেন। এমনকি, তাঁদের বিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়। হতবাক হয়ে যান অ্যালিস। এর পরেই মনের দুঃখে বিয়েবাড়ি ছাড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অ্যালিস বলেন, ‘‘আমি মোট ১৫ মিনিট বিয়েবাড়িতে ছিলাম। সেখানে ঢুকতেই আমায় কটাক্ষ করেন পাত্রী। আমার কাছে এসে বলে যে আমার পোশাক নাকি তার বিয়ের জন্য অনুপযুক্ত। ২০২৫ সালে এসেও এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ভাবতে পারছি না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কনে এসে আমায় বলে যে, অন্য কেউ হলে তিনি তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু যে হেতু আমি অনেক দূর থেকে এসেছি, তাই তিনি আমায় কিছু বলছেন না।’’ এর পরেই অ্যালিস মনের দুঃখে বিয়েবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। তরুণীর দাবি, বিয়েবাড়িতে যে কোনও পোশাকবিধি রয়েছে, তা তিনি জানতেন না। তাঁর স্বামীকেও নাকি কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন:
ওই বিয়েবাড়িতে অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি এবং তাঁর স্বামী কী পোশাক পরেছিলেন, সেই ছবিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অ্যলিস। সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই হইচই পড়েছে। পাত্রীর আচরণের নিন্দা করে সরব হয়েছেন অনেকে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘নিন্দনীয় আচরণ। যদি কোনও পোশাকবিধি ছিল, আমন্ত্রিতদের তা আগে থেকে জানানো উচিত ছিল। কনের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’ অন্য একজন আবার লিখেছেন, ‘‘আপনাদের দু’জনকেই সুন্দর লাগছিল। মন খারাপ করবে না। বিষয়টি ওই পাত্রীর নিচু মানসিকতার পরিচয়।’’