১৫ দিন আগে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ায় সঙ্গীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা। নাগপঞ্চমীর দিন তারই ‘বদলা’ নিতে ওই একই বাড়িতে ঢুকল সর্পিণী। উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ জেলার সরুটিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের তেমনই দাবিতে হইচই পড়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতেই ছিল সেই সর্পিণী। ফোঁস ফোঁস করে তেড়ে যাচ্ছিল গ্রামবাসীদের দিকে। পরে বনবিভাগের আধিকারিকেরা সাপটিকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে সরুটিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে সাপ ঢুকে পড়ে। ভয় পেয়ে সাহায্য চান গৃহকর্তা। পরে গ্রামবাসীরা এসে মেরে ফেলেন সাপটিকে। এর পর নাগপঞ্চমীর দিন ওই একই বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি সর্পিণী। গৃহকর্তাকে দেখে ফোঁস ফোঁস করতে থাকে সে। গ্রামবাসীরা এলে তাঁদের দিকেও তেড়ে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, ১৫ দিন আগে যে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়েছিল, তারই সঙ্গী ওই সর্পিণী। সঙ্গীর মৃত্যুর ‘বদলা’ নিতে হানা দিয়েছিল সে। ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতেই ঢুকেছিল। এর ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত জেগে সাপটিকে পাহারা দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর পাঠালে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
যদিও সর্পিণীর ‘বদলা’ তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্ষাকালে ব্যাঙ-ইঁদুরের মতো শিকারের সন্ধানে ঘরে সাপ ঢুকে পড়ে। স্ত্রী সাপটিও সম্ভবত সেই কারণে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল।
আরও পড়ুন:
সরুটিয়া গ্রামে সাপের যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, একটি সাপকে ধরার চেষ্টা করছেন বন দফতরের আধিকারিক এবং গ্রামবাসীরা। কিন্তু সাপটি ফণা তুলে ফোঁস ফোঁস করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে লোকজনের দিকে। ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘মনোজ শর্মা লখনউ ইউপি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের কেউ কেউ যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে।