স্ত্রী সুস্থ থাকাকালীন সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। গোলমাল বাধল তখন, যখন ২৮ বছর বয়সি স্ত্রী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। অসুস্থ স্ত্রীর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাঁর স্বামী এমন এক কাণ্ড ঘটালেন যার ফল সুদূরপ্রসারী হয়। তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করে বাড়িছাড়া হন তাঁর স্বামী। সঙ্গে নিয়ে যান মোটা টাকা। চিনের জিয়াংসুর ঘটনা। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হতে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমেও।
আরও পড়ুন:
লিন নামের তরুণী জিয়াংসুতে এক জন ট্যুর গাইড হিসাবে কাজ করতেন। বিয়ের চার বছর পর, ২০১৭ সালে তিনি হঠাৎ অনুভব করেন যে তার পা অবশ হয়ে পড়ছে। ধীরে ধীরে অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের একটি বিরল রোগ ধরা পড়ে লিনের। সমস্ত শরীর সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শয্যাশায়ী হয়ে যান তিনি। তাঁর এই দুঃসময়ের সুযোগ নেন তাঁর স্বামী চ্যাং। স্ত্রীকে প্রতারণা করে এক কোটি ১৫ লক্ষ টাকায় তাঁর বাড়ি বেচে দেন তরুণ। সেই টাকা নিয়ে চম্পট দেন তিনি।
নানজিঙের একটি আদালতে লিন মামলা করেন চ্যাঙের বিরুদ্ধে। পাঁচ বছর আত্মগোপন করে থাকার পর ২০২২ সালের শেষের দিকে চ্যাংকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময়কালে তিনি কোথায় ছিলেন বা কী করেছিলেন তা স্পষ্ট হয়নি। অসুস্থ স্ত্রীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মাত্র ১০ মাসের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। এর পর লিন বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। গত মার্চে লিনের আবেদন গৃহীত হয়েছে। তার সঙ্গে লিনের জন্য ৮ লক্ষ টাকা ভাতা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। এই ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে। প্রচুর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। এক জন লিখেছেন, ‘‘এক জনের পুরো জীবনের বিনিময়ে ১০ মাস জেলে কাটানোর শাস্তি!’’