যাতায়াতের পয়সা বাঁচাতে বাইক চুরি! গন্তব্যে পৌঁছনোর পর বা জ্বালানি শেষ হওয়ার পর রাস্তার ধারেই রেখে দিতেন চুরি করা বাইকগুলি। আর এর ফলে যে টাকা বাঁচত তা দিয়ে মদ কিনে খেতেন। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এমনই এক অদ্ভুত সুরাসক্ত চোর। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার ওই মাতালের চুরি করা পাঁচটি বাইক শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রবি বর্মা নামে এক যুবককে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাতায়াতের ভাড়া বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে মদ কেনার জন্য এবং আলস্যের জন্য ওই কাণ্ড ঘটাতেন রবি। নির্জন এলাকায় কোনও বাইক দেখতে পেলেই তা নিয়ে পালাতেন তিনি। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর আবার সেই বাইক রাস্তার ধারে রেখে দিতেন। কখনও জ্বালানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইকগুলি চালাতেন। তবে সেগুলি বাড়ি নিয়ে যেতেন না, বিক্রিও করতেন না। তা হলে কেন এই চুরি? পুলিশ জানিয়েছে, হাঁটতে ভালবাসেন না রবি। আলস্যের কারণেই এই রকম কাণ্ড ঘটাতেন। একই সঙ্গে তিনি সুরাসক্তও বটে। সব সময় মদের নেশায় চুর হয়ে থাকেন। ওই ভাবে যাতায়াতের ভাড়া বাঁচিয়ে তা দিয়ে মদ কিনে খেতেন রবি।
আরও পড়ুন:
পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, রবির পকেটে সব সময় তিনটে ‘মাস্টার কি’ থাকত। ওই চাবিগুলি ব্যবহার করেই তিনি বাইকের লক্ খুলতেন। ইনদওরের এসিপি তুষার সিংহ জানিয়েছেন যে, ছোটি গোয়ালতলি থানার পুলিশ রবিকে গ্রেফতার করেছে এবং পাঁচটি বাইক উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটি বাইক এক পুলিশকর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, বাইক উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। কারণ, মদের নেশায় রবি এতটাই বুঁদ থাকেন যে তিনি বাইকগুলি কোথায় রাখতেন, তা তাঁর মনে থাকত না। রবির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।