রোদে অন্তর্বাস শুকোতে দিলেই তা বেপাত্তা! দিনের পর দিন অধিকাংশ মহিলা প্রতিবেশীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে চলেছে। শেষমেশ এই ‘অন্তর্বাস চোর’কে হাতেনাতে পাকড়াও করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন স্থানীয়েরা। কিন্তু সেই ‘চোর’ ধরা পড়তেই আদর উপচে পড়ল পাড়ার মহিলাদের।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘চোর’-এর নাম লিওনার্দো দ্য পিঞ্চি। ভালবেসে সকলে তাকে লিও বলে ডাকে। সুযোগ পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে লিও। কোনও প্রতিবেশী রোদে কাপড় শুকোতে দিলেই সেখানে গুটি গুটি পায়ে হাজির হয়ে যায় লিও। তার পর সেই অন্তর্বাসে কামড় বসিয়ে তা মুখে করে আবার নিজের ঠিকানায় ফিরে যায় সে।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বাস ছাড়াও শৌখিন জিনিসপত্রের দিকেও নজর পড়ে লিওর। বিশেষত স্বল্পদৈর্ঘ্যের পোশাক, পুরুষদের মোজা এবং বক্সার ‘চুরি’ করতেও পছন্দ করে সে। অবশেষে প্রতিবেশীদের হাতেনাতে ধরা পড়ল লিও। কিন্তু মহিলারা তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে পারলেন না। লিওকে বেকসুর খালাস তো দিলেনই, পরির্বতে মন ভরে আদরও করলেন। কারণ, তাঁদেরই অন্য এক প্রতিবেশীর পোষ্য বিড়াল সে। বয়স সবে ১৫ মাস।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিউ জ়িল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের মাইরাঙ্গি বে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। লিওর মালকিনের নাম হেলেন নর্থ। হেলেনের দাবি, জন্মের পর লিও শান্তই ছিল। কিন্তু গত বছর থেকে তাকে আর ঘরে বন্দি করে রাখা যাচ্ছে না। সুযোগ পেলেই পালিয়ে যাচ্ছে সে। বহু ক্ষণ বেপাত্তা থাকার পর ঘরে ফিরছে লিও। কিন্তু প্রতি বার তার মুখে থাকছে কোনও স্বল্পদৈর্ঘ্যের পোশাক। অধিকাংশ সময় মহিলা প্রতিবেশীদের অন্তর্বাস কুড়িয়ে নিয়ে আসে সে। লিওর কাণ্ডে নাজেহাল হয়ে যান হেলেন।
লিওকে নাকি বকাও দিয়েছেন তিনি। ঘরে বন্দি করে রেখেছেন। সে যেন ঘরেই জামাকাপড় নিয়ে ঘুরতে পারে, তাই ইতিউতি নিজের পোশাক ছড়িয়ে রাখতেন হেলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অন্যের জিনিস চুরি করতেই নাকি ভাল লাগে লিওর। এক বার নাকি পাঁচ ফুট লম্বা একটি সাপ ধরে নিয়ে এসেছিল সে। কয়েক দিন পরে লিও একটি দামি সোয়েটার নিয়ে চলে আসে যার মূল্য ১৮১ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৭৬০ টাকা)।
আরও পড়ুন:
অবশেষে এর মীমাংসা করেন হেলেন নিজেই। প্রতিবেশীদের নিয়ে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি গ্রুপ খুলেছেন তিনি। সক্রিয় হয়েছেন নিজের ফেসবুকের পাতায়ও। লিও যা যা কুড়িয়ে আনে, দিনের শেষে সেগুলির ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে দেন হেলেন। তা দেখে হেলেনের বাড়ি থেকে নিজের পোশাক সংগ্রহ করে নেন প্রতিবেশীরা। লিওকে দেখলে বকাঝকাও করেন না তাঁরা। বরং আদরে ভরিয়ে দেন ১৫ মাসের ‘অন্তর্বাস চোর’কে।