ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে এক ‘বিরল’ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন এক দম্পতি। স্ত্রীকে ট্রেনে ছাড়তে এসেছিলেন স্বামী। গুজরাতের ভাদোদরা থেকে মুম্বইয়ে যাবেন স্ত্রী। অনেকটা পথ একা সফর করবেন। যাচ্ছেনও অনেক দিনের জন্য। তাই দু’জনের কথা শেষ হচ্ছিল না। সঙ্গে থাকা ব্যাগ গুলোকে সরিয়ে স্ত্রীর জন্য জায়গা ফাঁকা করে দিচ্ছিলেন স্বামী। ঠিক এই সময়েই হঠাৎ একটা দুলুনি। ট্রেন ছেড়েছে বুঝতে পেরে দৌড়ে দরজার কাছে এলেন স্বামী। কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই। বন্দে ভারতের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য ট্রেনের মতো আর সেই দরজা খোলার উপায় নেই।
গোটা ট্রেন তখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন মানুষটি। অবশেষে টিকিট পরীক্ষককে খুঁজে পেলেন। তাঁকেই জানালেন সমস্যার কথা। কিন্তু তিনিও নাচার। মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলেন, ওই দরজা আপাতত খোলা যাবে না। তা ছাড়া ট্রেনের গতি এখন অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। ফলে আরোই থামানো যাবে না। ওই ট্রেন থামবে পরবর্তী স্টপেজে। যা ভদোদরা থেকে অনেকটাই দূরে। সুরতে। হাজার অসুবিধার কথা শুনিয়েও কিছু করতে পারলেন না মানুষটি।
রাতে যে পোশাক পরে ঘুমিয়েছিলেন। স্ত্রীকে ছাড়তে এসেছিলেন সেই পোশাকেই। স্টেশনে ঢোকার আগে গাড়ি পার্ক করে রেখেছিলেন স্টেশনেরই কাছে একটি জায়গায়। সম্ভবত বাড়িও সেভাবে ভাল করে বন্ধ করে আসেননি। কিন্তু তাতে রেল কর্তৃপক্ষ বা বন্দে ভারত ট্রেনের কিছু যায় আসে না। সে তার নিয়মে চলল।
ঘটনাটির কথা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির কন্যা। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘মা আমার কাছেই আসছিল। এখন দেখছি বাবাও মায়ের সঙ্গে আসছে। তবে একজন মুম্বইয়ে নামবে। আরএকজন নামবে সুরতে।’’
এক্সে দীর্ঘ পোস্টে বাবার সঙ্গে হওয়া একটি কথোপকথনের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন তাঁদের কন্যা। তাতে দেখা যাচ্ছে গুজরাতি ভাষায় তাঁর বাবা লিখেছেন, ‘‘একই দিনে বন্দে ভারত আর শতাব্দীতে যাতায়াত, প্রিমিয়াম জার্নি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy