রঙের উৎসবে সকলে মেতে উঠলেও অফিসের কর্মীরা যেন দোল উদ্যাপন না করেন। কর্মীদের কড়া শাসনে বাঁধতে তাই দোলের ছুটি বাতিল করে দিয়েছিলেন অফিসের বস্। শুধু তা-ই নয়, কর্মীরা যদি পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দোল খেলেন, তা হলেও পেতে হবে ‘শাস্তি’। গায়ে যদি এক ফোঁটাও রং লেগে থাকে, তা বসের নজরে পড়লে তৎক্ষণাৎ অফিস থেকে বার করে দেবেন তিনি। কাটা যাবে সেই কর্মীর পুরো দিনের বেতনও। নির্দেশ অমান্য করলে সেই কর্মীকে অনুপস্থিত ঘোষণা করবেন বস্। মেল পাঠিয়ে কর্মীদের এমনই ‘হুমকি’ দিলেন তিনি। সেই মেলের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই কটাক্ষের শিকার হন তিনি।
আরও পড়ুন:
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি মেলের স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সেই পোস্টে জানানো হয়েছে যে, কর্মীদের দোলের জন্য কোনও ছুটি দেননি তাঁদের ম্যানেজার। আবার কর্মীদের জন্য নিয়মকানুন জারি করে ‘হুমকি’ও দিয়েছেন তিনি। সেই ম্যানেজারের দাবি, অফিস চত্বরে কোনও কর্মী যেন রং নিয়ে প্রবেশ না করেন। অফিসের ভিতর দোল খেলতে পারবেন না বলে জানান তিনি। দোলের জন্য আলাদা ভাবে কর্মীদের কোনও ছুটি দেওয়ার পক্ষপাতী নন সেই ম্যানেজার। এমনকি, কোনও কর্মী যদি পরিবার অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দোল খেলেন তা হলেও বিপদ।
আরও পড়ুন:
কোনও কর্মীর গায়ে যদি রং লেগে থাকে তা হলে তাঁকে অফিস থেকে বার করে দেওয়া হবে। সারা দিনের জন্য সেই কর্মীকে অনুপস্থিত ঘোষণা করবেন ম্যানেজার। শুধু তা-ই নয়, অনুপস্থিত ঘোষণা করার পাশাপাশি সেই কর্মীর সারা দিনের বেতনও কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দোল খেলে যদি কোনও কর্মী পরের দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন তা হলে সেই ছুটি মঞ্জুর করবেন না বস্। মেল করে এই বিধিনিষেধ জারি করলে বসের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কর্মীরা।
Not only my Employer has the audacity to not grant any leaves for Holi but also to mark them unapproved/unpaid for those who take forcefully with sandwich sallary deduction and consequences of warning behaviour issue letters and much more. and to term every festival as business critical day🤡
byu/SahilSakure23 inIndianWorkplace
সমাজমাধ্যমে পরিচয় গোপন করে সেই মেলের স্ক্রিনশট পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দেন সেই সংস্থার এক কর্মী। কোথাকার অফিসে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে নেটাগরিকদের অধিকাংশ বসের এমন আচরণে সহমত প্রকাশ করেননি। তাঁদের দাবি, এমন কড়া শাসন করলে অফিসে কোনও কর্মীই শান্তিতে কাজ করতে পারবেন না। অফিসের বাইরেও তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। অফিসের বস্ সেখানে নাক গলিয়ে ফেলে অনুচিত কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন নেটব্যবহারকারীদের একাংশ।