বছর প্রায় শেষের দিকে। এখনও হাতে বেশ কয়েকটি ছুটি জমা রয়েছে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত তরুণীর। তাই অসুস্থতার কারণে ম্যানেজারের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তরুণীর শরীর খারাপের খবর পেয়েও তাঁকে অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসলেন তাঁর ম্যানেজার। তা দেখে রেগে যান তরুণী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ঘটনার উল্লেখ করে একটি পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, তরুণী এক নামকরা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। দিন কয়েক আগে তাঁর জ্বর হয়েছিল। অফিসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকায় অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। তরুণী যে জ্বর হওয়ার জন্য ‘সিক লিভ’ নিচ্ছেন, সে কথা ম্যানেজারকে জানান। কিন্তু অধস্তনের শরীর খারাপের কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন না তাঁর ম্যানেজার। বরং, তরুণীকে অদ্ভুত এক প্রশ্ন করে বসলেন তিনি।
সংস্থার ঊর্ধ্বতন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘তোমার কি আদৌ কোনও ছুটি বাকি রয়েছে?’’ ঊর্ধ্বতনের সেই মেসেজ দেখে রেগে যান তরুণী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘‘আমার শরীর কেমন রয়েছে তা নিয়ে কিছু জিজ্ঞাস্য নেই। এই পরিস্থিতিতেও ছুটি নিয়ে আমায় প্রশ্ন করছেন। ছুটি বাকি না থাকলে কি আমি নিতাম?’’ তরুণীর আরও দাবি, চলতি বছরে তিনি অসুস্থতার জন্য মাঝেমধ্যেই ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে এখনও কিছু ‘সিক লিভ’ জমা ছিল।
তিনি চলতি বছরে একাধিক বার ‘সিক লিভ’ নিয়েছেন বলে তাঁর ম্যানেজারের এমন ধারণা জন্মাতে পারে। বছর শেষ হয়ে গেলে জমে থাকা ছুটিগুলিও নষ্ট হয়ে যাবে তরুণীর। পরের বছরের জন্য আর সেগুলি জমিয়ে রাখা যাবে না। তাই বছরের শেষে হকের ছুটি নেওয়ায় কোনও দোষ দেখছেন না তিনি।
বরং সংস্থার বিষাক্ত কর্মনীতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তরুণী। তরুণী কর্মীর পোস্ট দেখে সেই প্রসঙ্গে এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘অফিসের কোনও সহকর্মী অথবা ঊর্ধ্বতনের কাছে এই ধরনের আচরণ আশা করবেন না। তাঁদের সঙ্গে আপনার কাজের সম্পর্ক। কাজ ছাড়া এমন মানবিকতার ধার ধারতে তাঁদের বয়েই গিয়েছে।’’