পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে কী করতে চান? সেই সংক্রান্ত আলোচনা চলার সময় ভারতীয় অভিনেত্রীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের এক বর্ষীয়ান সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভারতীয়েরা। নিন্দার ঝড় উঠেছে পাকিস্তানেও। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত এবং পাকিস্তান— দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। জোর জল্পনা ‘আসন্ন যুদ্ধ’ নিয়েও। আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে পাকিস্তানি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এআরওয়াই ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা মুবাশ্বর লুকমানের সঙ্গে ওই বিষয়েই আলোচনা করছিলেন সাংবাদিক নাসিম হানিফ। সেই পডকাস্ট চলাকালীনই ভারতীয় অভিনেত্রীদের উদ্দেশে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মম্তব্য করতে দেখা যায় মুবাশ্বরকে, যা সমাজমাধ্যমে আলোড়ন ফেলেছে।
আরও পড়ুন:
মুবাশ্বরকে হানিফ প্রশ্ন করেন, “স্যর এই পরিস্থিতিতে আপনি কি অস্ত্র হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? যুদ্ধ শুরু হলে আপনার ইচ্ছা কী?” এর উত্তরে মুবাশ্বর বলেন, ‘‘আপনার পডকাস্টের মাধ্যমে আমি ধর্মগুরুদের কাছ থেকে জানতে চাই যে, ভারতীয় অভিনেত্রীদের যদি আমাদের দেশে নিয়ে আসতে চাই তা হলে কি আমায় অনুমতি দেওয়া হবে?’’ এই বলে হাসতে শুরু করেন তিনি। হানিফ আবার জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনার কি কোনও বিশেষ অভিনেত্রীকে পছন্দ?’’ উত্তরে মুবাশ্বর বলেন, ‘‘অনেকে আছেন। কিন্তু ও সব বাদ দিন। আমাকেও বাড়ি যেতে হবে।” সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারত এবং পাকিস্তান— দু’দেশের নেটাগরিকেরাই। এক পাকিস্তানি এক্স ব্যবহারকারী ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, “ভারতীয়দের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে এই বদমায়েশকে শিক্ষা দিন।” অন্য এক পাক নাগরিক আবার লিখেছেন, ‘‘একজন পাকিস্তানি হিসাবে বলিউড অভিনেত্রীদের সম্পর্কে মুবাশ্বর লুকমানের মন্তব্যের জন্য আমি গভীর ভাবে লজ্জিত।’’ তৃতীয় এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘অসুস্থ মানসিকতার মানুষেরা এ রকমই হন।”