বিয়ের পর দু’বছরের দাম্পত্য ছিল তরুণের। সংসার-সুখ তাঁর ভাগ্যে স্থায়ী হয়নি। দু’বছর পরেই পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দম্পতি। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পর তরুণের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ হিসাবে দিতে হবে লক্ষ লক্ষ টাকা! শুধু তা-ই নয়, মেটাতে হবে তাঁর দুই বিড়াল পোষার খরচও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তুরস্কের ইস্তানবুলের বাসিন্দা বুগরা। দু’বছর আগে এজ়গি নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। বিয়ের পর দু’টি বিড়াল পুষেছিলেন তাঁরা। বিবাহবিচ্ছেদের সময় সেই দুই পোষ্যের দায়িত্বভার পান এজ়গি। তবে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পোষ্যদের ভরণপোষণের সমস্ত খরচ দিতে হবে বুগরাকে।
আরও পড়ুন:
বছরে প্রতি তিন মাস অন্তর এজ়গিকে পোষ্যদের খরচ বাবদ ১০ হাজার লিরা (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার টাকা) দিতে হবে। অর্থাৎ, সারা বছরে পোষ্যদের জন্য ৪০ হাজার লিরা (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৪ হাজার টাকারও বেশি) দিতে হবে বুগরাকে। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১০ বছর অথবা বিড়াল দু’টি যত দিন বেঁচে থাকবে তত দিন পোষ্যদের যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে বুগরাকে।
হিসাব করলে দেখা যায়, বিড়ালদের জন্য এজ়গির হাতে ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী ৮ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা তুলে দেওয়ার কথা। তা ছাড়া খোরপোশও দিতে হবে বুগরাকে। খোরপোশ বাবদ এজ়গিকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার লিরা (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা) দেবেন বুগরা। এই খবরটি জানাজানি হতেই নেটপাড়ার একাংশ সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘দেশের প্রাণীসুরক্ষা আইন অনুযায়ী এই ঘটনাটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।’’ আবার কেউ কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘‘বিবাহবিচ্ছেদের জন্য যে এত খরচ হয়ে যাবে, তা জানলে মনে হয় তরুণ এই সিদ্ধান্ত নিতেন না।’’