বাড়ি থেকে একসঙ্গে পালিয়েছিলেন দুই তুতো বোন। নিখোঁজ থাকার কয়েক দিন পর ফিরলেন ‘স্বামী-স্ত্রী’ হয়ে। সটান থানায় পৌঁছে গেলেন তাঁরা। জানিয়ে দিলেন, তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করেছেন এবং একসঙ্গে থাকতে চান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজ়ফ্ফরনগরে।
সংবাদমাধ্যম ‘অমর উজালা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুই তুতো বোনের মধ্যে এক জনের বাবা কন্যার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, মুজ়ফ্ফরনগরের টিটাউই গ্রামের বাসিন্দা তাঁর এক ভাইয়ের মেয়ে তাঁর কন্যাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েছেন। মেয়েকে পাচার করা হয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছিল লখনউ পুলিশ। কিছু দিনের মধ্যেই পুলিশ ওই তরুণীর খোঁজ পায়। তাঁকে ফিরে আসার কথা বলে পুলিশ। নিরাপত্তার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরেন দুই বোন। নবদম্পতির বেশে এলাকায় ঢুকেছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এক জনের পরনে ছিল বরের পোশাক। অন্য জন ছিলেন কনের সাজে। মাথায় সিঁদুরও ছিল। এলাকায় ফিরে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন দু’জনেই। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যেরাও থানায় উপস্থিত হন।
দুই বোন পুলিশকে জানান, বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। একে অপরকে ভালবাসেন এবং বাকি জীবনটাও একসঙ্গেই কাটাতে চান। থানায় আসার আগে একটি মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেছেন বলেও জানান। এর পর থানায় উপস্থিত আত্মীয়স্বজনেরা তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে এবং পরিবারের সঙ্গে থাকার আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু দু’জনেই মত পরিবর্তন করতে অস্বীকার করেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ তাঁদের দু’জনকেই থানা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই তুতো বোনের মধ্যে যিনি ছোট, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বড় জন পড়াশোনা করেছেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত। তাঁদের এক জন পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়াও তৈরি হয়েছে। আগে তাঁরা একে অপরের বোন ভাবলেও এখন ‘সঙ্গী’ মনে করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সমলিঙ্গ বিবাহ আইনত স্বীকৃত নয়। যদিও সমলিঙ্গ সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।