ফের সোনম-কাণ্ডের ছায়া উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদে। প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণীকে। এক বার নয়, একই কায়দায় দু’বার স্বামীকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রী। অনলাইনে আনা দইয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তরুণকে হত্যার চেষ্টা করেন তাঁর স্ত্রী ও প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদে। মৃত তরুণের নাম সুনীল যাদব। ২৪ জুলাই তাঁর মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুনীলের স্ত্রী শশী যাদব ও তাঁর প্রেমিক যাদবেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ মে প্রথমে সুনীলকে দইয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খেতে দেন শশী। সেই বিষাক্ত দই খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে সুনীলের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে ছেড়ে দেন। তাতেও দমে যাননি সুনীলের স্ত্রী। স্বামী বাড়ি ফেরার পর ১৪ মে আবার একই ভাবে বিষ প্রয়োগ করেন তিনি। দ্বিতীয় বার বিষক্রিয়ার মাত্রা তীব্র হওয়ার ফলে মৃত্যু হয় সুনীলের।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, কী ঘটেছে তা ঠিকমতো বুঝতে না পেরে সুনীলের পরিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। সুনীলের মা শশী এবং তাঁর প্রেমিকের নামে অভিযোগ দায়ের করার পর মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে যাদবেন্দ্রের সঙ্গে গত এক বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্কে ছিলেন শশী। প্রেমিকের সঙ্গে যুক্তি করে স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন শশী। পরিকল্পনামতো অনলাইনে বিষের অর্ডার দেন যাদবেন্দ্র।
ময়নাতদন্ত হওয়ার আগেই সৎকার হওয়ার ফলে তদন্তের অগ্রগতি কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সুনীলের পরিবার সেই সময় কোনও অনিয়মের সন্দেহ করেনি, তাই মৃতদেহ দাহ করা হয়েছিল। দইয়ের পাত্র এবং বিষের বোতলের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আদালতে মামলা গঠনের জন্য সুনীলের পোশাক, বিছানার চাদর এবং ফোনের কল রেকর্ডের মতো অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
সুনীল এবং শশীর ১২ বছরের দাম্পত্য এবং তাঁদের দু’টি ছোট সন্তান রয়েছে। একই গ্রামের বাসিন্দা যাদবেন্দ্রের সঙ্গে এক বছর আগে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান শশী। তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান সুনীল ও তাঁর পরিবার। প্রেমের সম্পর্কের কাঁটা দূর করতে তাই পরিকল্পনা শুরু করেন প্রেমিক জুটি। প্রথম বার ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁরা আবার একই ভাবে সুনীলকে খুনের চেষ্টা করেন ও সফল হন বলে মনে করছে পুলিশ।