আরামের জন্য সনা স্নান (সনা বাথ) নিতে গিয়েছিলেন দুই তরুণী। কিন্তু সেই স্নানই পরিণত হল দুঃস্বপ্নে। গরম বাষ্পে ভরা স্নানঘরে আটকে পড়লেন দু’জনেই। ভয়ে চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। এক ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকার পর শেষমেশ নিজেরাই দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায়। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়ডার সেক্টর ১৫০-এর এক বিলাসবহুল আবাসনের বাসিন্দা ওই দুই তরুণীর নাম পারুল চতুর্বেদী এবং তরুণা। আরামদায়ক সনা স্নানের জন্য আবাসনেরই ক্লাবহাউসের স্নানঘরে যেতেন তাঁরা। সোমবারও আধ ঘণ্টার জন্য স্নানঘরে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই স্নানঘরের দরজা বিকল হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়েন। অন্য দিকে গরম বাষ্পের কারণে স্নানঘরের উত্তাপ বাড়তে থাকে। ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন দুই তরুণী। কিন্তু তাঁদের চিৎকার কারও কান অবধি পৌঁছোয়নি। ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁদের। শেষমেশ কোনও উপায় না পেয়ে একটি লোহার রড দিয়ে নিজেরাই স্নানঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি ওই স্নানঘরে আটকে ছিলেন তরুণীদ্বয়। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘নয়ডা.দেখো’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, তেমনই উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন ছবির কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সত্যি সত্যি বড় কোনও বিপদ হয়ে যেতে পারত।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর! জীবনের শেষ স্নান হয়ে যেত দুই তরুণীর। আমি তো ভেবেই ভয় পাচ্ছি।’’