১৫ অগস্টের ছুটিতে সাফারি পার্কে গাড়ি করে ঘুরছিলেন পর্যটকেরা। হঠাৎ করেই রাস্তার পাশে বসে থাকা চিতাবাঘ আক্রমণ করে বসল এক কিশোরকে। বেঙ্গালুরুর বানারঘাট্টা সাফারি পার্কের ঘটনা। পরিবারের সকলের সঙ্গে ছুটি কাটানো যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হল ১৩ বছরের কিশোরের। বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি জিপ গাড়িতে করে সাফারি পার্কে ভ্রমণ করছিল সে। ঠিক তখনই হঠাৎ করে চিতাবাঘটি গাড়িতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার হাত ধরে মাংস খুবলে নেয়। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ಬನ್ನೇರುಘಟ್ಟ ರಾಷ್ಟ್ರೀಯ ಉದ್ಯಾನವನದಲ್ಲಿ ಸಫಾರಿ ವೇಳೆ ಚಿರತೆಯೊಂದು ಜೀಪ್ನಲ್ಲಿದ್ದ ಬಾಲಕನ ಮೇಲೆ ದಾಳಿ ನಡೆಸಿದೆ. #Bannerghatta #Leopardattack #Bengaluru pic.twitter.com/JKlJR5NPaQ
— vijaykarnataka (@Vijaykarnataka) August 16, 2025
ভয়াবহ সেই ঘটনার ভিডিয়োটি পিছনের গাড়ির পর্যটকেরা ক্যামেরাবন্দি করেছেন। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রথমে চিতাবাঘটি সাফারি ট্র্যাকের ধারে শান্ত ভাবে বসে ছিল। যখন যানবাহনগুলি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তা চেয়ে চেয়ে দেখছিল। মুহূর্তের মধ্যেই শিকারি প্রাণীটি একটি গাড়িকে দেখে তার পাশে পাশে দৌড়তে শুরু করে। লাফ দিয়ে পেছনের পায়ে দাঁড়িয়ে গাড়ির জালের জানালা দিয়ে তার থাবাটি ঢুকিয়ে দেয়। অসাবধানতাবশত জানালার বাইরে হাত রাখা ছিল কিশোরটির। সেই হাতে থাবা মারে চিতাবাঘটি। নখ দিয়ে ফালা ফালা করে দেয় হাত।
আরও পড়ুন:
সাফারিচালক তৎক্ষণাৎ গাড়িটি পার্কের প্রধান কার্যালয়ের দিকে ফিরিয়ে আনেন। এবং আহত ছেলেটিকে জিগানির নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন যে ছেলেটির হাতে নখের আঘাত রয়েছে। গভীর ক্ষত বা সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। পার্ক কর্তৃপক্ষের মতে, সাফারিতে যানবাহনের উপর লাফিয়ে জানালার জালে আটকে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। যাত্রীদের জানলার বাইরে হাত রাখার ফলে আক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
এক্স হ্যান্ডলে ভিডিয়োটি ‘বিজয়কর্নাটক’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছেন নেটাগরিকেরা। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকের আগমন হয় বানারঘাট্টার এই সাফারি পার্কে। সেখানে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা এবং সাফারির বিধিনিষেধ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে।