জলের নীচে শান্ত ভাবে বিশ্রাম করছিল অষ্টপদ। তাকে খোঁচা মেরে ঘুম ভাঙাতেই ঘটল বিপত্তি। তেড়ে এসে জাপটে ধরল উত্ত্যক্তকারীর হাত। তার পর কালো তরল ছাড়তে ছাড়তে হাত বেয়ে ঘাড় গলা মুখে সব ক’টি বাহু দিয়ে আগ্রাসী আক্রমণ চালাতে শুরু করল সমুদ্রের প্রাণীটি। অক্টোপাসের আচমকা আক্রমণে ঘাবড়ে যান ডুবুরি। আটটি শুঁড় থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকেন তিনি। গভীর সমুদ্রে অক্টোপাস-মানুষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি (যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। ভিডিয়োটির অবস্থান ও তারিখও সুস্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের গভীরে ডুবুরি একটি অক্টোপাসের মুখোমুখি হয়েছেন। নিরাপদ দূরত্বে না থেকে ডুবুরি লাঠি দিয়ে সেটির গায়ে আঘাত করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ডুবুরির হাতটি ধরে ফেলে প্রাণীটি। অক্টোপাসটি দ্রুত ডুবুরির ঘাড়, হাত এবং চোয়ালের চারপাশে শক্তিশালী শুঁড় দিয়ে জাপটে ধরে। অক্টোপাসের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য প্রাণপণ লড়াই করতে থাকেন ডুবুরি। ভিডিয়ো দেখে এক সময়ে মনে হচ্ছিল, ডুবুরি বোধহয় এর কবল থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। শেষমেশ কোনও রকমে বাহুপাশ থেকে মুক্তি মেলে ডুবুরির। প্রাণীটি ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁপাতে থাকেন তিনি।
ভিডিয়ো দেখে প্রচুর মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। লাইক, কমেন্টের ঝড় বয়ে গিয়েছে পোস্টটিতে। ‘ইটসনিকহলিডে’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। বেশির ভাগ দর্শকই এই ঘটনার জন্য ডুবুরিকে দায়ী করেছেন। এক জন নেটাগরিক মন্তব্য করেছেন, ‘‘অক্টোপাস শক্তিশালী প্রাণী, ওদের একা থাকতে দিন।’’ ডুবুরির বিচারবুদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকেই বলছেন যে, অক্টোপাসটি ডুবুরিকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।