মাস গেলে মোটা বেতন পেতেন তরুণ। কিন্তু সেই পারিশ্রমিক এবং ঝাঁ-চকচকে জীবনের প্রতি ধীরে ধীরে বিতৃষ্ণা জন্মে গিয়েছিল তাঁর। তাই প্রযুক্তি সংস্থার চাকরি ছেড়ে অটো চালাতে শুরু করেন তিনি। এই পেশা বেছে নিয়ে মানসিক শান্তি খুঁজে পেয়েছেন তরুণ। জীবনদর্শন নিয়ে কিছু কথা বলে তা ভিডিয়ো করেছেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘উওক এমিনেন্ট’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, অটো চালাতে চালাতে এক তরুণ তাঁর জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা করছেন। অটোর সামনে নিজের ফোন রেখে নিজস্বী তোলার ভঙ্গিতে ভিডিয়োটি রেকর্ড করছেন তিনি। সেই ভিডিয়োটি নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়তে বহুল প্রশংসা কুড়িয়ে ফেলেছেন তরুণ। জানা গিয়েছে, সেই অটোচালক আসলে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:
সেখানকার এক প্রযুক্তি সংস্থায় চাকুরিরত ছিলেন তিনি। কিন্তু মাসের শেষে মনের মতো পারিশ্রমিক পেলেও মানসিক শান্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে দেন সেই তরুণ। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় অটো চালিয়ে উপার্জন করবেন বলে স্থির করেন তিনি। অটো চালাতে চালাতে তিনি বলেন, ‘‘জীবনে টাকার প্রয়োজন তা মানছি। কিন্তু টাকার চেয়েও প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে। আমাদের সেই সন্ধান করা উচিত। জীবনে কোনও পরিস্থিতিতে পালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। সব রকম পরিস্থিতির হাসিমুখে মোকাবিলা করতে হবে। জীবন বহমান। কখনওই তা শেষ হবে না। জীবনে খুব কষ্টে রয়েছেন বলে যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা এই ভাবনাকে দূর করুন। জীবনটা এতটাও কঠিন নয়।’’
তরুণের মুখে এ কথা শুনে তাঁকে সমর্থন করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘চাকরি করতে করতে জীবনটাই আর উপভোগ করতে পারি না। অর্থ এবং পদোন্নতির পিছনে ছুটতে ছুটতে আমরা যন্ত্রে পরিণত হয়েছি।’’ আবার এক জন তরুণের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘‘আপনার সাহসকে কুর্নিশ জানাই। মানসিক শান্তি বেছে নিয়ে আপনি যে এই পদক্ষেপ করতে পেরেছেন, তার জন্য অনেক সাহস থাকা চাই।’’