পরীক্ষা শুরুর আগে মামা-ভাগ্নির শর্ত হয়েছিল। ভাগ্নি জানিয়েছিলেন, দ্বাদশের পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ নম্বর পাবেন তরুণী। মামাও কথা দিয়েছিলেন যে, ৯০ শতাংশ নম্বর পেলে ভাগ্নিকে আইফোন কিনে দেবেন। কিন্তু ফলাফল বেরোনোর পর মন ভেঙে যায় তরুণীর। ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন তিনি। কথা দিয়ে কথা রাখতে না পারায় দিনরাত কান্নাকাটি করছেন তিনি। তাই ভাগ্নিকে অনুপ্রেরণা দিতে বিশেষ উপহার নিয়ে গেলেন তাঁর মামা। ভাগ্নির মনখারাপ দূর করতে তাঁর হাতে ধরিয়ে দিলেন আইফোন। তা দেখে আনন্দে মামাকে জড়িয়ে ধরলেন তরুণী। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ফরিদাবাদকাপল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণীর হাতে আইফোনের বাক্স ধরিয়ে দিলেন এক তরুণ। উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে তরুণকে জড়িয়ে ধরলেন সেই তরুণী। আসলে, ভিডিয়োয় যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁরা মামা-ভাগ্নি। ভিডিয়োয় তরুণ জানান যে, তাঁর ভাগ্নি কথা দিয়েছিলেন যে, দ্বাদশের পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ নম্বর পাবেন। কিন্তু তিনি ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।
পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর কেঁদে ভাসাচ্ছিলেন তরুণী। কারণ, তাঁর মামা তাঁকে কথা দিয়েছিলেন যে, তরুণীর কথামতো ৯০ শতাংশ নম্বর পেলে তাঁকে আইফোন উপহার দেবেন। নম্বর কম পেয়েছেন বলে উপহার পাবেন না সে কথা ভেবেই মনখারাপ তরুণীর। তরুণীকে চমক দিতে তাঁর বাড়িতে হাতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন তাঁর মামা। ভাগ্নির হাতে প্রথমে মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে দেন তিনি। তার পর আড়াল থেকে আইফোনের বাক্স বার করেন তরুণ।
ভাগ্নিকে তা উপহার দিতেই বাক্স হাতে নিয়ে নীচে বসে পড়েন তিনি। আনন্দ ধরছিল না তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে মামাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। তার পর বাক্স খুলে আইফোন বার করে দেখতে থাকেন তরুণী। ভিডিয়োটি দেখার পর এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘তরুণী খুব ভাগ্যবতী যে আপনার মতো মামা পেয়েছেন। এমন অনুপ্রেরণা আর ভালবাসা পেলে সন্তানেরা ফলাফল নিয়ে মনখারাপ করে থাকে না। বরং ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও দৃঢ়সংকল্প হয়।’’