প্রাচুর্যের কোনও অভাব নেই। খামার থেকে যথেষ্ট উপার্জন করেন তরুণ। শখপূরণের জন্য একটি সিংহও পোষেন তিনি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিনোদনের জন্য অদ্ভুত ধরনের ইচ্ছা জেগে ওঠে তাঁর মনে। মজা পেতে তাই খামারের অধস্তন কর্মীকে একটি ঘরে বন্দি রেখে পোষ্য সিংহ লেলিয়ে দিলেন তিনি। কর্মীর চিৎকার শুনে খিলখিলিয়ে হেসেও উঠলেন খামারের মালিক। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘সাহার ইমামি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, একটি ঘরের ভিতর ভয়ে চিৎকার করে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এক তরুণ।
ঘরের ভিতর তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে এক বিশাল সিংহ। তরুণ যে খামারে কাজ করেন, সেখানকার মালিকের পোষ্য সিংহ সে। মজা পেতে অধস্তনের দিকে পোষ্য সিংহটিকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন খামারের মালিক। ঘর থেকে বেরোনোর পথও বন্ধ করে রেখেছিলেন অন্য এক তরুণ।
সিংহের হাত থেকে বাঁচার জন্য ছোটাছুটি করছিলেন অধস্তন। ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলেও কিছুতেই তাঁকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছিল না। সিংহটিও পিছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল তরুণকে। ঘরের এক কোনায় যেতে তরুণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল সিংহটি। দুই থাবা দিয়ে তরুণের কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে পড়ল সে।
আরও পড়ুন:
ভয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলেন তরুণ। তরুণকে ভয় পেতে দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলেন তাঁর মালিক। এই ঘটনাটি উত্তর আফ্রিকার লিবিয়ায় ঘটেছে। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তে অধিকাংশ নেটাগরিক ধিক্কার দিয়েছেন। এক জন নেটব্যবহারকারী এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘‘মানুষ কতটা অমানবিক হলে এই ধরনের আচরণ করতে পারেন! সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছেন ওই খামারের মালিক।’’