জলাশয়ের ধারে হরিণের দল চড়ে বেড়াচ্ছিল। জলাশয়ের অনতিদূরেই একটি বাড়ি। সেই জলাশয়েই ঘাপটি মেরে ছিল একটি অ্যালিগেটর। চোখের সামনে এত হরিণ দেখে লোভ সামলাতে পারল না সে। জলাশয় ছেড়ে ডাঙায় উঠে পড়ল অ্যালিগেটরটি। হরিণের দলের দিকে যখন সে গুটি গুটি পায়ে এগোতে শুরু করেছে, তখনই তার দিকে উড়ে এল এক জোড়া জুতো। হরিণদের বাঁচাতে জুতো মেরে অ্যালিগেটরটি তাড়ানোর চেষ্টা করলেন এক মহিলা। অ্যালিগেটরটি জুতোর বাড়ি খেয়ে থমকে গেল।
শিকার হাতছাড়া হওয়ায় মহিলাকে শাস্তি দিতে এক পাটি জুতো কামড়ে এক দৌড়ে জলাশয়ে চলে গেল সে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ফক্স ১৩ নিউজ়- টাম্পা বে’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, জলাশয়ের ধারে হরিণের দল ঘোরাফেরা করছে। জলাশয় থেকে উঠে সে দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে একটি অ্যালিগেটর। জলাশয়ের সামনেই ছিল একটি বাড়ি। সেই বাড়ির মালকিন হরিণের দিকে অ্যালিগেটরটিকে এগিয়ে যেতে দেখেন। অ্যালিগেটরটিকে সেখান থেকে তাড়ানোর জন্য প্রথমে এক পাটি জুতো ছুড়ে মারেন তিনি।
কিছু ক্ষণ পর আরও এক পাটি জুতো ছোড়েন ওই মহিলা। জুতোর বাড়ি খেয়ে অ্যালিগেটরটি লাফিয়ে পিছনে ফিরে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মহিলাটি এর পর অ্যালিগেটরের কাছে চলে যান। মাটি থেকে জুতো তুলে আবার তা অ্যালিগেটরের মাথায় ছুড়ে মারেন তিনি। বার বার জুতোপেটা খেয়ে রেগে যায় অ্যালিগেটরটি। সঙ্গে সঙ্গে এক পাটি জুতোয় দাঁত বসিয়ে দেয় সে।
তার পর জুতোর পাটি মুখে তুলে এক দৌড়ে জলাশয়ের দিকে চলে যায় সে। মহিলার কাছে থেকে যায় জুতোর দ্বিতীয় পাটি। এই ঘটনাটি ফ্লরিডার কিসিমি এলাকায় ঘটেছে। ভিডিয়োটি দেখে এক জন নেটাগরিক মজা করে লিখেছেন, ‘‘অ্যালিগেটরটিকে জুতো মেরে তাড়াতে চেয়েছিলেন। এখন নিজেরই এক পাটি জুতো খুইয়ে বসলেন।’’