এক মহিলার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে ঢুকেছিলেন। সেই সময় আলমারি খুলে ওই মহিলার অন্তর্বাস চুরির অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই। জেলেও যেতে হল তাঁকে। ঘটনাটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে ঘটেছে। যদিও সেই ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ওই মহিলা নিজেই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁর পরনের জ্যাকেটেও পুলিশ লেখা। ঘরের মধ্যে বিভিন্ন জিনিস ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটি আলমারির দিকে নজর পড়ে তাঁর। এর পর ড্রয়ার খুলে দেখেন সেখানে বাড়ির মালকিনের অন্তর্বাস রয়েছে। তারই মধ্যে একটি অন্তর্বাস তুলে নেন তিনি। ইতিউতি দেখে প্যান্টের পিছনে ঢুকিয়ে দেন গোলাপি অন্তর্বাসটি। তার পর সোজা ওই কামরা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ঘরে থাকা সিসি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরা পড়ে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম মার্সিন জিলেনস্কি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশে কর্মরত ছিলেন মার্সিন। সেই সময়ই এক মহিলাকে গ্রেফতার করে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তিনি। সেই তল্লাশি চালানোর সময়েই অভিযুক্ত মহিলার অন্তর্বাস চুরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কেমব্রিজ ক্রাউন আদালত তাঁকে চার মাসের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। মাস চারেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে মার্সিনের অন্তর্বাস চুরির ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনেন ভুক্তভোগী মহিলা। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।
সমাজমাধ্যমের সেই পোস্টে মহিলা লিখেছেন, ‘‘২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক আমার বাড়িতে আসে। আমার স্বামী দরজা খুলে দেন। আমাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমায় হাতকড়া পরিয়ে আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হ্যাটফিল্ড থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেই মামলায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ মহিলার পোস্ট করা ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘জঘন্য বিষয়। কিন্তু পুলিশ আধিকারিক কেন এটা করেছিলেন জানতে ইচ্ছা করছে।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘এই জন্য বলে রক্ষকই ভক্ষক। এক জন পুলিশের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’’