বাড়ির আদরের পোষ্য। সন্তানস্নেহে লালনপালন করেছিলেন যাকে, সেই প্রাণপ্রিয় জার্মান শেফার্ডই কাড়ল বৃদ্ধার প্রাণ। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে গত রবিবার এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর, মোহিনী দেবী নামে এক ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে আঁচড়ে কামড়ে ফালাফালা করে দেয় কুকুরটি। কুকুরটি হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং ঝাঁপিয়ে পড়ে বৃদ্ধাকে কামড়াতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দেয় মাটিতে। তাঁর মুখ, পেট এবং কোমরে গুরুতর আঘাত লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
পুত্রবধূ কিরণ এবং নাতি ধীর প্রশান্ত ত্রিবেদীর সঙ্গে থাকতেন মোহিনী। আর ছিল এই পোষা কুকুরটি। যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন কিরণ এবং প্রশান্ত ঘরের ভিতরে ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি শুনতে পান, পোষা জার্মান শেফার্ড উঠোনে চিৎকার করছে। কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনে মোহিনী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। কুকুরের আচরণ নিয়ে চিন্তিত হয়ে সে ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য যান। তাঁকে দেখেই কুকুরটি আক্রমণ করে। কুকুরটি তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে পড়ে যান। মোহিনীকে কামড়ে ধরে কুকুরটি। পোষা কুকুরটি তাঁকে আক্রমণ করতেই ভয়ে, যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন বৃদ্ধা। পরিবারের বাকিরা প্রথমে ভেবেছিলেন কুকুরটি বাইরের কোনও লোককে দেখে ডাকাডাকি করছে। বৃদ্ধার চিৎকার শুনে তাঁরা যখন বাইরে আসেন, তখন তাঁরা মোহিনী দেবীকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।