দশ বছর ধরে কাজের সূত্রে আমেরিকায় রয়েছেন তরুণী। বাগ্দত্তের সঙ্গে বিদেশে বিলাসবহুল জীবন কাটান তিনি। কিন্তু দিনের পর দিন বাবা-মাকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে তাঁর। বেশি বয়সে তাঁদের খেয়াল কে রাখবে তা ভেবেই বিদেশের মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তরুণী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের পরিস্থিতির উল্লেখ করে পোস্ট করেন (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/রিটার্নটুইন্ডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তরুণী। উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দা তিনি। দশ বছর আগে বিদেশে স্নাতকোত্তর করতে গিয়েছিলেন তরুণী। তার পর চাকরি নিয়ে সেখানেই থিতু হয়ে যান তিনি। ৩২ বছরের তরুণী বর্তমানে আমেরিকার ডেনভারে থাকেন। বয়সে দু’বছরের ছোট এক তরুণের সঙ্গে আংটিবদল পর্ব সেরে ফেলেছেন তিনি। দু’জনে একসঙ্গেই ডেনভারে থাকেন।
প্রতি মাসে মোটা বেতন পান তাঁরা। সপ্তাহে দু’দিন অফিস যেতে হয় তাঁদের। সংস্থার তরফে প্রচুর ছুটিও পান তাঁরা। তাই সুযোগ পেলেই আন্তর্জাতিক সফর করেন দু’জনে। ইতিমধ্যে বিদেশের বহু জায়গায় ঘুরে ফেলেছেন তাঁরা। ঋণ নিয়ে সেখানে বাড়িও কিনে ফেলেছেন দু’জনে। আমেরিকায় বিলাসবহুল জীবন কাটান তরুণী। তবুও মাথায় সর্বদা এক চিন্তা ঘুরপাক খায় তাঁর। তরুণীর বাবা-মায়ের বয়স বাড়ছে। তাঁদের কে যত্নে রাখবেন সে কথা ভেবেই কূলকিনারা পান না তরুণী।
তাঁদের নিজের কাছে রাখতে চাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভিটেবাড়ি ছেড়ে নড়তে চান না তরুণীর বাবা-মা। অন্য দিকে ভারতে গিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন তরুণী। তবুও বয়স্ক বাবা-মায়ের কথা ভেবে বিদেশের মোটা বেতনের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নিজের বাড়িতে ফিরতে না পারলেও বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন তিনি। সেখানে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চান তরুণী। তাঁর বাগ্দত্তও বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কোনও চাকরি খুঁজবেন বলে জানান তিনি। এই পোস্ট দেখে তরুণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আপনি সত্যিই আদর্শ সন্তানের পরিচয় দিয়েছেন।’’