মন দিয়ে পড়াশোনা করবেন বলে ‘প্রেমে পড়া বারণ’ ছিল তরুণীর। স্কুলে পড়াকালীন এক সুদর্শন তরুণের সঙ্গে আলাপ হলেও প্রেমের সম্পর্কে জড়াননি তিনি। তরুণীর চোখে তখন একটি মাত্র স্বপ্ন— মনের মতো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া। তাই মন দিয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। কিন্তু সেই কলেজে ভর্তি হতে পারেননি তরুণী। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা তরুণী যদিও ভাল কলেজেই ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু কলেজে ওঠার পর নিজেকে দেওয়া কথাও ভুলে গেলেন তিনি।
প্রথম বার প্রেম পড়লেন তরুণী। স্কুলজীবনে আলাপ হওয়া সেই সুদর্শন তরুণের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন তিনি। কিন্তু তরুণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পর তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়ে জেনে আর সেই সম্পর্কে থাকতে চাইছেন না তরুণী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে সেই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘আর/টিনইন্ডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে তরুণী প্রেমিকের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমার সঙ্গে আমার প্রেমিকের প্রথম দেখা হয়েছিল। ও এতটাই সুপুরুষ যে, ক্লাসরুমে ঢুকলে সব মেয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে থাকত। লম্বা, দেখতে সুন্দর, শরীরী গঠনও চোখে পড়ার মতো। ও খুব সুন্দর কথা বলতে পারে। এমনকি, স্বভাবচরিত্রও খুব ভাল। আমাদের একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল। আমি সাধারণত বেঞ্চে একা বসে থাকার মতো মেয়ে। প্রথম দেখার পর আমরা মেসেজে কয়েক বার কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমি নিজেই দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করি। তখন কলেজে ভর্তির জন্য মন দিয়ে পড়াশোনা করছিলাম। আমি চাইছিলাম না যে, পড়াশোনা ছাড়া মন অন্য কোনও দিকে যাক।’’
তরুণীর যে কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা ছিল, সেই কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। তবে, ভাল কলেজেই ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর আবার সেই তরুণের দেখা হয় তরুণীর। দু’জনের মধ্যে আবার কথাবার্তা শুরু হয়। বন্ধুত্ব ভালবাসায় গড়িয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা ডেট করা শুরুর পর থেকেই জটিলতা সৃষ্টি হয়। তরুণীর দাবি, তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করলে তাঁর প্রেমিক ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা শুরু করেন। সেই আলোচনা থেকে তরুণী জানতে পারেন যে, তাঁর প্রেমিকের বাবার রিয়্যাল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। দিল্লি এবং মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের পরিবারের।
বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর প্রেমিক কখনও তা আচার-আচরণে বোঝাননি। খুবই সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করেন তরুণ। তাঁদের মধ্যে যে অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তরুণী। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার প্রেমিক সমাজের যে স্তরে ওঠাবসা করে, সেই স্তরে আমি কখনওই পৌঁছোতে পারব না। এটিই আমাদের দু’জনের জীবনের প্রথম সম্পর্ক। কিন্তু আমার বার বার মনে হয় যে, এই সম্পর্ক টিকবে না। নানা অছিলায় সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু ও কিছুতেই সম্পর্ক ভাঙতে চায় না। আমায় খুবই ভালবাসে তা বুঝতে পারি। আমিও ওকে খুবই ভালবাসি। এই পরিস্থিতিতে কী করব বুঝতে পারছি না।’’
আরও পড়ুন:
সমস্যার কথা জানিয়ে নেটাগরিকদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তরুণী। তরুণীর পোস্ট দেখে এক জন নেটাগরিক মজা করে লিখেছেন, ‘‘আপনার কথা শুনে মনে হল কোনও হিন্দি সিনেমার গল্প। বড়লোক বাড়ির ছেলে তার চেয়ে কম প্রতিপত্তিসম্পন্ন কোনও পরিবারের মেয়েকে ভালবেসে ফেলেছে।’’ আবার নেটাগরিকদের একাংশ তরুণীকে পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘‘আপনারা যখন পরস্পরকে ভালবাসেন, তা হলে এত জটিল ভাবে ভাবছেন কেন? সুন্দর, সুস্থ একটি সম্পর্কে থাকুন। যা হওয়ার এমনিই হবে।’’