দত্তপুকুরের মোচপোল বাজি বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে বাড়ি। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণেও জড়িয়ে গেল মুর্শিদাবাদের সুতির নতুন চাঁদরার নাম। গ্রামের অনেকের বাজি তৈরিই পেশা ছিল বলে স্থানীয় ভাবে যে গ্রামকে ‘বাজিগ্রাম’ বলে ডাকা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই গ্রাম থেকে অন্তত ১০ জনকে দত্তপুকুরে বাজি তৈরির কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন গ্রামেরই যুবক জেরাত আলি। তাঁদের কারও খোঁজ রাত পর্যন্ত মেলেনি।
জেরাত গ্রামের তৃণমূল সদস্যের দেওর। জেরাতের দাদা ইশা শেখ বর্তমানে এনআইএ-র হেফাজতে। প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলায় গ্রেফতার হন ইশা। তবে রাত পর্যন্ত জেরাত ও বাকিদের কোনও খোঁজ মেলেনি। দিনভর টহল দিয়েছে পুলিশের গাড়িও। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার পিভিজি সতীশ বলেন, ‘‘কিছু খবর এসেছে। হতাহতের তালিকায় থাকতে পারে সুতির কারও নাম। আমরা যোগযোগ রাখছি
দত্তপুকুরের সঙ্গে।’’
গ্রামে জেরাতের নিজের বাড়িতেই একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। রবিবার সকালেও সে দোকান খোলা হয়েছিল। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের খবর পেতেই বন্ধ হয়ে যায় দোকান। দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় জেরাতের দুই ছেলে মান্নান শেখ এবং আনজারুল শেখ, ইশার ছেলে রনি শেখ, জেরাতের মামা মর্তুজ আলির ছেলে হাবির শেখও গিয়েছিলেন বলে গ্রামের মানুষ জানাচ্ছেন। তবে এ দিন গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, গ্রামটি প্রায় শুনশান। প্রায় ১২০ ঘরের ওই গ্রাম এখন কার্যত পুরুষশূন্য। অনেকের বাড়িতেই তালা ঝুলছে।
‘বাজিগ্রাম’ নতুন চাঁদরায় বাজি তৈরি করা অনেকেরই পেশা ছিল। তবে ২০১৫ সালের মে মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় বিস্ফোরণে এই গ্রামের ১০ জনের মৃত্যুর পরে বাজি তৈরির পেশা থেকে অনেকেই সরে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় গত সপ্তাহেই সাজা হয়েছে গ্রামেরই বাসিন্দা সুরজ শেখ-সহ ৩ জনের। সুতির বিধায়ক তৃণমূলের ইমানি বিশ্বাস বলছেন, ‘‘পিংলা কাণ্ডের পরেও এরা সংযত হয়নি, এটাই দুঃখের। দল কোনওমতে এর
প্রশ্রয় দেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy