বিএসএফের উপর দায়িত্ব সঁপে না দিয়ে রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলিতে সতর্কদৃষ্টি দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের দুই সীমান্তবর্তী জেলা থেকে দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। একটি ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার ধানতলায়, অন্যটি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার ধানতলার সীমান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী মুম্বইয়ে কর্মরত ছিলেন। ভারতে প্রবেশের জন্য তিনি দালাল মারফত ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করেন বলে অভিযোগ। কিছু দিন মুম্বইয়ে কাজ করার পরে বৃহস্পতিবার ধানতলা দিয়ে বাংলাদেশ ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্তা জানান, গভীর রাতে সীমান্তে টহলদারির সময় সন্দেহজনক ভাবে এক তরুণীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। তিনি কোথা থেকে আসছেন, কোথায় যাবেন, এমন সাধারণ কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন তরুণী। তাঁর কাছ থেকে পরিচয়পত্র চাওয়া হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেগুলো সবই জাল। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় তরুণী স্বীকার করে নেন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। কয়েক মাস আগে দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকেন। প্রথমে কিছু দিন নদিয়াতেই ছিলেন। পরে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মুম্বই যান। সেখানে একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন।
শুক্রবার ধৃত তরুণীকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর সঙ্গে দালালচক্র এবং ভুয়ো নথি তৈরির চক্রের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। নদিয়ার সীমান্ত এলাকাগুলিতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে তৎপর প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে চারশোর বেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিলিগুড়িতেও একই দিনে ধরা পড়েছেন আর এক বাংলাদেশি। জানা যাচ্ছে, সীমান্তে নজরদারি আরও কড়া করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এক বাংলাদেশি। ধৃতের নাম কেইরুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের বসন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।