আবার কোচবিহারের দিনহাটায় রাজনৈতিক উত্তেজনা। শহরে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তুঙ্গে শাসক-বিরোধীর বাগ্যুদ্ধ।
সিপিএমের অভিযোগ, শুক্রবার দিনহাটা শহরে তাদের কার্যালয়ে বিনা প্ররোচনায় ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তার পরে কার্যালয়ের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, শুক্রবার মাথাভাঙায় সিপিএমের যুব ফেডারেশনের মঞ্চ থেকে দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে আক্রমণ করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ডিওয়াইএফআই-র ২০তম কোচবিহার জেলা সম্মেলন থেকে মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘দিনহাটা কারও বাপের জায়গা নয়, পুলিশের ছাতা মাথায় না থাকলে উদয়ন গুহদের আমরা পকেটে রাখি।’’ সিপিএমের দাবি, তার পরেই এই আক্রমণ হয়েছে।
যদিও বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। মীনাক্ষীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উদয়ন বলেন, ‘‘আগামী এক বছরের মধ্যে দিনহাটার বুকে সভা করার চ্যালেঞ্জ করলাম মীনাক্ষী মুখার্জিকে।’’ পাশাপাশি সিপিএম কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়ের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দিনহাটার এই দলীয় কার্যালয়ে বহু বার হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। এদের জন্য রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এটাই কালচার (সংস্কৃতি)। তারা কোনও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’’ অনন্ত অভিযুগের সুরে জানান, দিনহাটা থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সিপিআইএমের ওই কার্যালয়। তার পরেও সেখানে বিনা বাধায় ভাঙচুর চালিয়েছে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কিছুই করেনি। সিপিএম নেতার কটাক্ষ, ‘‘পুলিশ মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে। আমরা দিনহাটায় গিয়ে সমস্ত বিষয় সরজমিনে দেখে আইনের দ্বারস্থ হব।’’