Advertisement
E-Paper

অনলাইনে যোগ করা হবে ২২ হাজার মান্ডি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, শিল্প সংস্থা এবং কৃষি ক্ষেত্রকে একই ছাতের তলায় এনে ফেলতে পারলে বহু বহু সমস্যার সমাধান করা যাবে। কেন্দ্রের এই নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে জেলায় কী ধারণা? এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মলয় মেইকাপ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘জেলায় এখনও এ বিষয়ে কোনও বার্তা আসেনি।’’

অভিজিৎ চক্রবর্তী এবং  দিগন্ত মান্না

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫২
ক্ষীরপাই কৃষক বাজার। নিজস্ব চিত্র

ক্ষীরপাই কৃষক বাজার। নিজস্ব চিত্র

কৃষকদের সুবিধে এবং বিপণনের ক্ষেত্র আরও বাড়াতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, দেশের ২২ হাজার কৃষক বাজারকে (মান্ডি) ‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেট’এর (ই-এনএএম) সঙ্গে যোগ করবে। বুধবার মুম্বইয়ে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যেই এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে। ই-এনএএম হল একটি অনলাইন ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে কৃষিপণ্য বিক্রি করা যায়।

‘ক্রপ কেয়ার ফেডারেশন’ এদিন একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল। সেখানেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা দেশে এর মধ্যেই ৫৮৫টি মান্ডি অনলাইন ক্ষেত্রের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষি ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন ভাবনা রয়েছে সরকারের। সেসব রূপায়ণ করে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হবে। এর ফলে কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলেই মত মন্ত্রীর। নতুন পরিকল্পনায় কী লাভ হতে পারে? মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, কৃষি উৎপাদনের খরচ কমানো, কৃষককে লাভজনক দাম পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, খাদ্যের অপচয় রোধ করাই মূল লক্ষ্য। এর সঙ্গে দেখা হবে কৃষকেরা যেন বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে পান।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, শিল্প সংস্থা এবং কৃষি ক্ষেত্রকে একই ছাতের তলায় এনে ফেলতে পারলে বহু বহু সমস্যার সমাধান করা যাবে। কেন্দ্রের এই নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে জেলায় কী ধারণা? এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মলয় মেইকাপ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘জেলায় এখনও এ বিষয়ে কোনও বার্তা আসেনি।’’ একই খবর মিলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষি বিপণন দফতর সূত্রেও। দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা এক আলোচনায় এ বিষয়ে কিছু কথাবার্তা শুনেছিলেন। লিখিত ভাবে তাঁদের এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।

ঘটনা হল, কৃষি বাজারগুলোকে অনলাইন প্লাটফর্মে নয় আনা গেল। কিন্তু জেলায় কৃষি বাজারগুলোর কী হাল? পূর্ব মেদিনীপুরে পাঁটটি কৃষক বাজার রয়েছে। পাঁশকুড়া, পটাশপুর ১ নম্বর ব্লক, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, কাঁথি ব্লকে এই কিসান মান্ডিগুলো রয়েছে। এর মধ্যে পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের কিসান মান্ডিতেই কিছুটা আনাজ কেনাবেচা চলে। বাকিগুলোতে ধান কেনাবেচা হয়। পাঁশকুড়ার কিসান মান্ডি একেবারেই বন্ধ। বছর দুই আগে পাঁশকুড়ার ৭২ জন ফল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ ও ৪২০ জন আনাজ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা অগ্রিম নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও চালু হয়নি কৃষক বাজার। পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে মোট ১২টি কিসান মান্ডি রয়েছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, আরও কিসান মান্ডি চালু হওয়ার কথা।

Kisan Mandi Online Marketing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy