E-Paper

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে খুনে বিহার থেকে ধৃত আরও ১

গত ১২ জুন পঞ্জাবের মোগা থানা এলাকায় একটি সোনার দোকানে ব্যারাকপুরের কায়দায় লুট ও খুন করেছিল রাজবীরের দল। সেখান থেকে এক কোটি টাকা লুট করে বিহার ও মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে যায় তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ০৭:৩০
An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে খুনের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রাজবীর সিংহ ওরফে অবিনাশ। সে বিহারের বাসিন্দা। পঞ্জাবের অ্যান্টি গ্যাংস্টার টাস্ক ফোর্স (এজিটিএফ) ও বিহার পুলিশের যৌথ অভিযানে দিন পাঁচেক আগে বিহার থেকে রাজবীরকে ধরা হয়।

গত ১২ জুন পঞ্জাবের মোগা থানা এলাকায় একটি সোনার দোকানে ব্যারাকপুরের কায়দায় লুট ও খুন করেছিল রাজবীরের দল। সেখান থেকে এক কোটি টাকা লুট করে বিহার ও মহারাষ্ট্রে ছড়িয়ে যায় তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পঞ্জাব ও বিহার পুলিশের যৌথ বাহিনী এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারী দলের আধিকারিকেরা। যৌথ বাহিনীর হাতে ধৃতদের প্রথমে মোগা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জলন্ধর আদালতে তোলা হলে ট্রানজ়িট রিমান্ডে রাজবীরকে ব্যারাকপুরে আনা হবে বলে জানান কমিশনারেটের আধিকারিকেরা।

গত ২৪ মে সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরে ১৪ নম্বর রেলগেটের কাছে সোনার দোকানে ডাকাতি ও গুলি করে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নীলরতন সিংহের ছেলে নীলাদ্রি সিংহকে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় এলাকা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুষ্কৃতীদের মোটরবাইকের নম্বর দেখে ধরা হয় সফি, জামশেদ ও আসিফ খান নামে তিন জনকে। চতুর্থ জন ধরা পড়লেও এখনও এক জন পলাতক। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও লুটের অভিযোগ আছে। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রতি বার জামিনে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্তেরা নতুন কাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে শুক্রবার জানান ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া। দ্রুত বিচার শেষ করতে রাজ্য সরকারের কাছে বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের আবেদন জানিয়েছে কমিশনারেট।

ধৃত আসিফ খানের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ। যে বাইকে তারা এসেছিল, সেটি উদ্ধার হয়েছে। যে রিভলভার দিয়ে খুন করা হয়, মিলেছে সেটিও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Robbery arrest Jewellery shop Barrackpore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy