E-Paper

বাসন্তী হাইওয়েতে বসছে আরও দশটি সিসি ক্যামেরা

পুলিশ সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তা বলে পরিচিত। সায়েন্স সিটি থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার রাস্তায় ২০২২ সালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আট জনের।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১৬
An image of CCTV Camera

—প্রতীকী চিত্র।

বাসন্তী হাইওয়ের প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। সেই অংশে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভাঙড় ও কাশীপুর থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় চলে এলে ওই রাস্তার আরও ১১ কিলোমিটার অংশে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে লালবাজারকে। সরকারি ভাবে বাসন্তী হাইওয়ের ওই অংশ নিজেদের আওতায় আসার আগেই সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। ওই ১১ কিলোমিটার রাস্তায় প্রথম দফায় ১০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রথম দফায় বাসন্তী হাইওয়ের ঘটকপুকুর মোড় ছাড়াও পাগলাহাট, নলমুড়ি-সহ কিছু জায়গায় ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ওই এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে আসার পরেই সিসি ক্যামেরা দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণে নজরদারি চালানো হবে। বর্তমানে কলকাতায় প্রায় ৩০০০ সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বেপরোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যবহার হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ রাস্তা বলে পরিচিত। সায়েন্স সিটি থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার রাস্তায় ২০২২ সালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আট জনের। জখমের সংখ্যা বহু। চলতি বছরে ওই অংশে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই রাস্তা দিয়ে উভয়মুখী গাড়ি চলে। রাস্তায় কোনও বিভাজিকা না থাকার ফলে সব সময়ে সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সেই আশঙ্কা কমাতেই সিসি ক্যামেরা দিয়ে বেপরোয়া গাড়ির উপরে নজর রাখা হবে।

লালবাজার সূত্রের খবর, ভাঙড় ও কাশীপুর কলকাতা পুলিশের অধীনে এলে ঘটকপুকুর মোড়ের কাছে পৃথক ট্র্যাফিক গার্ড তৈরি করার চেষ্টা করবেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ওই এলাকা যুক্ত হলে কলকাতা পুলিশের পশ্চিমের সীমানা হবে গঙ্গা নদী আর পূর্ব দিকের সীমানা হবে মাতলা নদী। তবে কবে থেকে প্রায় ২১০ বর্গ কিলোমিটার ওই এলাকায় কলকাতা পুলিশ কাজ শুরু করবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ওই এলাকায় পুরনো দু’টি থানাকে রেখে আরও ছ’টি নতুন থানা করার প্রস্তাবে সরকারি সিলমোহর পড়েছে। বর্তমানে ওই সব থানার ভবন তৈরির কাজ চলছে। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় চারটি থানা নিয়ে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ শুরু করবে লালবাজার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CCTV Camera Basanti Highway

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy