Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Vicky Yadav Death

জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী খুনে ধৃত আরও তিন জন

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকিকে খুনের ঘটনায় এর আগে পুলিশ রিঙ্কু সিংহ এবং রহিস আলি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে, খুনের ঘটনার প্রধান চক্রীর হদিস এখনও পায়নি পুলিশ।

representational image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:১৯
Share: Save:

জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের নাম পঙ্কজ সিংহ ওরফে ইমরান আহমেদ, ইফতিকার আলম ওরফে সোনু এবং মহম্মদ জিশান। সোনু খুনের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সে গুলিও চালিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আরও দু’জন এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকিকে খুনের ঘটনায় এর আগে পুলিশ রিঙ্কু সিংহ এবং রহিস আলি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে, খুনের ঘটনার প্রধান চক্রীর হদিস এখনও পায়নি পুলিশ। কিছু দিন আগে কামারহাটিতে মোটরবাইক চুরির একটি ঘটনায় মহম্মদ জিশানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ভিকিকে খুনের ঘটনার অন্যতম চক্রীর সন্ধান পায় পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই চক্রীর নাম পঙ্কজ সিংহ। তার বাড়ি জগদ্দলে। তবে, সে কামারহাটিতে থাকত। জিশানের বাড়িও কামারহাটিতে। তার সঙ্গে পঙ্কজের আলাপ ছিল। জিশান চুরি করা বাইক পঙ্কজদের দিয়েছিল। সোনুর বাড়ি কাশীপুর এলাকায়।

পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপে বসে ভিকি যাদবকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। গত অগস্ট ও জুন মাসে দক্ষিণেশ্বর এবং কামারহাটি এলাকায় পর পর বাইক চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তাতে জিশানের নাম পুলিশের সামনে উঠে আসে। তদন্তে জানা যায়, জিশানের চুরি করা বাইক নিয়েই ভিকিকে খুন করতে গিয়েছিল সোনুরা। সঙ্গে ছিল সূর্য সাউ ও অরিন্দম ঘোষ। একটি বাইকে চেপে তিন জন ভিকিকে খুন করতে গিয়েছিল। সোনুর খোঁজ মিললেও এখনও পর্যন্ত অধরা সূর্য ও অরিন্দম। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Jagaddal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE