Advertisement
E-Paper

স্কুলগাড়ি নিয়ে তৈরি একগুচ্ছ নিয়ম

মঙ্গলবার বারাসতে জেলা পুলিশ দফতরে ‘পুলকার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্য, কয়েকটি স্কুলের প্রতিনিধি এবং আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০০:৪৬
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

এ বার থেকে ট্র্যাফিকের নিয়ম ভাঙলে বাতিল হবে স্কুলগাড়ি চালকদের লাইসেন্স। স্কুলগাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে লাগানো হবে যন্ত্রও (স্পিড লিমিটার)। পরপর স্কুলগাড়ি-দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এমনই একগুচ্ছ নিয়ম তৈরি করছে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ ও পরিবহণ দফতর।

মঙ্গলবার বারাসতে জেলা পুলিশ দফতরে ‘পুলকার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্য, কয়েকটি স্কুলের প্রতিনিধি এবং আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে পুলিশ। পরে পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন থেকে স্কুলগাড়ির ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি চলবে। গাড়ির গতি কম রাখতেই হবে। কোনও ট্র্যাফিক নিয়ম ভঙ্গ করলেই চালকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’’ এ দিনের বৈঠকে অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত স্কুলগাড়ি নিয়ে সমস্যার কথা উঠে আসে। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো আটকাতে প্রতি স্কুলগাড়িতে গতি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগানো হবে। পারমিট নিয়মিত যাচাই করা হবে। এ ছাড়াও সিট বেল্ট, প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সের মতো জরুরি গাড়িতে জিনিস রাখা এবং স্কুলগাড়ি লেখা বোর্ড ঝোলানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে স্কুলগাড়িতে। গাড়িতে আসন-সংখ্যার চেয়ে বেশি পড়ুয়া তোলা নিয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ দিন বারাসত-মধ্যমগ্রামের পুলকার সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৈঠকে ঠিক হয়েছে, স্কুলগাড়ির টায়ারে তাপ্পি মেরে ব্যবহার করা যাবে না। চালকদের নিয়ে কর্মশালা করে নিয়মিত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।’’ তবে স্কুলগাড়ি হিসেবে টোটো বা অটো কেন ব্যবহার হচ্ছে, সেই প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে কেউ অটো-টোটো বা বাসে করে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যেতেই পারেন। কিন্তু এই সব বিধি না মেনে স্কুলগাড়ি ব্যবহার করা যাবে না।’’

Pool Cars West Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy