প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে এককালীন মোটা টাকা পাওয়া যাবে, এমনই প্রলোভন দেখিয়ে এক মহিলার ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার খালধারপাড়া গ্রামে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের বাসিন্দা সাবেরা বিবির কাছে শুক্রবার একটি ফোন আসে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন কিনা। দিয়ে থাকলে এককালীন ১৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয় ফোনের ও প্রান্ত থেকে।
সাবেরা ইতিমধ্যেই প্রকল্পের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে ফোনে বলা হয়, ফোনে কথা বলতে বলতেই কাছের কোনও মোবাইল ফোনের দোকানে যেতে। বাকি কথা সেখানেই বলা হবে।
সাবেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ফোনে কথা বলতে বলতেই হাজির হন কাছের একটি দোকানে। তাঁকে ফোনে বলা হতে থাকে, তিনি যেন ওই দোকানিকে বলেন, ছেলে বাইরে থাকে। সে কিছু প্রয়োজনে কথা বলতে চায়।
সাবেরা ফোনটি দোকানদারকে ধরিয়ে দেন। দোকানের মালিক কুতুবুদ্দিন মোল্লার দাবি, তাঁকে ফোনের ও পার থেকে এক যুবক বলে, সে বাইরে থাকে। সমস্যায় পড়েছি। মা ৮ হাজার টাকা পাঠাতে চান। কিন্তু অনলাইনে লেনদেন করতে পারেন না। তাই অ্যাপ থেকে টাকাটা যেন দোকানদার পাঠিয়ে দেন। মা তাঁকে নগদ টাকা দিয়ে দেবেন। এ জন্য ওই অপরিচিত যুবক একটি মোবাইল নম্বর দেয় কুতুবুদ্দিনকে।
তিনি অ্যাপ থেকে ৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপরে কুতুবুদ্দিন সাবেরার কাছে ৮ হাজার টাকা চান। সাবেরা উল্টে তাঁকে জানান, ওই মোবাইল দোকানদারেরই তাঁকে ১৬ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। তাঁকে ফোনে যুবক জানিয়েছিল সে অনলাইনে টাকা পাঠাচ্ছে দোকানদারকে।
বিবাদের নিষ্পত্তি না হওয়ায় কুতুবুদ্দিন কাশীপুর থানায় দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে সাবেরাকে গ্রেফতার করতে যায়।
সাবেরা ও তাঁর স্বামী মোহাম্মদ সেলিম আলি সমস্ত ঘটনা পুলিশকে জানান। সেলিম কাশীপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন অজ্ঞাতপরিচয় প্রতারকদের বিরুদ্ধে।
সেলিম রিকশা চালান। তাঁর একটি মোবাইল বিক্রি করে কুতুবুদ্দিনকে ৮ হাজার টাকা শোধ করেছেন বলে জানালেন।
সাবেরা বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মাসে মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে এককালীন ১৬ টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়েই প্রতারিত হয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy