বেপরোয়া মোটরবাইক চালকদের ধাক্কায় গুরুতর আহত হল স্কুলপড়ুয়া কিশোরী। রবিবার রাতে বসিরহাটের দন্ডিরহাট এলাকার ওই ঘটনার পরে অভিযুক্তদের মারধর করে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশ তাদের আটক করে। এই ঘটনায় এলাকায় বেপরোয়া মোটরবাইকের দাপাদাপি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফিরছিল বছর পনেরোর ওই স্কুলছাত্রী। পথে তিন যুবক মোটরবাইক নিয়ে মেয়েটিকে ধাওয়া করে। বেপরোয়া মোটরবাইক চালিয়ে ওই তিন যুবক ওই কিশোরীকে অশালীন মন্তব্য ও কটূক্তি করতে থাকে বলে অভিযোগ। হঠাৎই পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে মোটরবাইক চালিয়ে তারা ওই কিশোরীকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই তিন অভিযুক্তকে ধরে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া হয়। কিন্তু এমন বেপরোয়া বাইকচালকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ভয়ঙ্কর শব্দ করা মোটরবাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল মোটরবাইক। ‘রোমিও’ নামে পরিচিত ওই মোটরবাইক চালকদের উপদ্রবে চাঁপাপুকুর, মধ্যমপুর, টাকি রোড, শহিদ দীনেশ রোড এলাকায় বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘রোমিওরা যে শুধু শব্দদূষণ করছে তা নয়, পথচলতি কিশোরী ও যুবতীদের উত্ত্যক্ত করছে। যাকে তাকে ধাক্কা মারছে। প্রতিবাদ করলে কটূক্তি শুনতে হচ্ছে।’’
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাত বাড়লে মোটরবাইকের গতি ও শব্দও বেড়ে যায়। তাঁদের দাবি, এদের কয়েকজনকে ধরা হলে এদের দৌরাত্ম্য কমবে। সম্প্রতি বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় মোটরবাইকের ধাক্কায় কয়েক জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বসিরহাট জেলা পুলিশের সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত জোরে মোটরবাইক চালানোর জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ আসছে। এমন চললে পুলিশ মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)