ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার একটি বেসরকারি স্কুলে। স্কুলের কর্ণধারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকেরা। পাশাপাশি, আবাসিকের ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।
বাদুড়িয়ার স্কুলটিতে ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য আলাদা দু’টি হস্টেল রয়েছে। স্কুলের কর্ণধারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদারকির নামে প্রায়শই রাতের বেলা ছাত্রীবাসে ঢোকেন তিনি। নাবালিকাদের সঙ্গে তিনি ‘কুরুচিকর ব্যবহার’ করতেন। এমনকি, স্কুলের বেশ কয়েক জন শিক্ষিকার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন তিনি। সে জন্য বেশ কয়েক জন শিক্ষিকা ওই স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শেখ শাহানুর আহমেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে উনি একই রকম ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ছাত্রীর সঙ্গে। ওই ছাত্রী আজ ভোরে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এসে এলাকার মানুষকে ঘটনার কথা খুলে বলেছেন। এর পরেই এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে স্কুল বন্ধ করে দেন।’’
স্কুলে আসসা ছাত্রছাত্রী বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আবাসিকেরও বাড়ি নিয়ে চলে যান অভিভাবকেরা। অন্য দিকে, যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের পরিচালনার ভার যাঁদের উপরে তাঁরাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আসাদ বলেন, ‘‘এই স্কুল আর খুলতে দেব না। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছি আমরা।’’ প্রধানের সংযোজন, ‘‘এই স্কুলমালিকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু আর নয়। গ্রামের মানুষজন মিলে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
আলামিন মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘স্কুলে কী ঘটনা ঘটেছে, সঠিক বলতে পারব না। স্কুলে গিয়ে দেখি ছুটি হয়ে গিয়েছে। এলাকার অনেক মানুষ স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে আছেন। ক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আমি মেয়েকে তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। খোঁজ নিচ্ছি, ঠিক কী ঘটেছে।’’