Advertisement
E-Paper

ঠাকুরনগরে ঘরে ঢুকে গুলি করে খুন যুবককে

ফোনে খবর পেয়ে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে গাইঘাটার ঠাকুরনগরে আনন্দপাড়ার নিজের বাড়ির শোবার ঘর থেকে ওই যুবকের দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুজল ঘোষ (২৬)। তাঁর মাথায় গুলি করা হয়েছে।

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৫ ১৮:৫২

ফোনে খবর পেয়ে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে গাইঘাটার ঠাকুরনগরে আনন্দপাড়ার নিজের বাড়ির শোবার ঘর থেকে ওই যুবকের দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুজল ঘোষ (২৬)। তাঁর মাথায় গুলি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল এবং দু’রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেছে। এসডিপিও (বনগাঁ) বিশ্বজিৎ মাহাতো জানিয়েছেন, ‘‘নিহত যুবকের বাবা গণেশবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশবাবুর দুই ছেলে। কয়েক বছর আগে বড় ছেলে উজ্জ্বল ঘোষ সাংসারিক অশান্তির কারণে শ্বশুরবাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গণেশবাবু পেশায় চাষি। বাড়ির পাশেই সুজলের একটি মুদিখানা এবং মোবাইল রিচার্জের দোকান আছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে ঘুমাচ্ছিলেন সুজল। কাঠের দরজা ভেজানোই ছিল। তাঁর বাবা গণেশবাবু ও মা জ্যোৎস্নাদেবী এবং চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া ভাইপো অরূপ বারান্দায় শুয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অরূপ কাকার ঘর থেকে এরটি শব্দ শুনতে পায়। শব্দ পেয়েই সে দাদু-ঠাকুমাকে নিয়ে সুজলের ঘরে গিয়ে দেখে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা আসেন। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার ওসি অনুপম চক্রবর্তী, এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের অনুমান খুবই কাছ থেকে সুজলকে গুলি করা হয়ে হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলাকার কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

gaighata murder police simanto moitra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy