অবশেষে আধার কার্ড মিলল বাজার থেকে!
২০১৪ সালে আধার কার্ডের ফর্ম পূরণ করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিমাদ্রি পাল। ২০১৬ সালে মোবাইলে এসএমএস আসে আধার কার্ড এলাকার পোস্ট অফিস থেকে সংগ্রহের জন্য। কিন্তু যতবারই গিয়েছেন আধার কার্ড আসেনি বলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
শেষমেশ মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের বাজার থেকে তাঁর আধার কার্ড পান মহারাজপুর গ্রামের এক ঠোঙা তৈরির কারিগর। তিনিই ফোন করে আধার কার্ডটি হিমাদ্রিবাবুর বাড়ি পৌঁছে দেন। মাঝেমধ্যেই পথেঘাটে খোঁজ মিলত বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র ও প্রশ্নপত্রের। কিন্তু এ বার ঠোঙার কাগজ রূপে দেখা মিলল আধার কার্ডের। এতে অবাক হিমাদ্রিবাবুর! তাঁর কথায়, ‘‘যে কার্ডের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছি। তা মিলবে বাজার থেকে। এটা ভাবতেও পারছি না। যদি গোপালবাবু না দেখতেন তা হলে তো আধার কার্ড ঠোঙা হয়ে যেত।’’ প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই এমনটা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
ওই গ্রামের বাসিন্দা গোপাল ভান্ডারী নামে ওই ঠোঙা তৈরির কারিগর সকালে বাজার থেকে কয়েক কিলোগ্রাম কাগজ কিনে এনেছিলেন। সেই কাগজের বান্ডিল খুলে দেখেন ৭টি আধার কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি কার্ডে মোবাইল নম্বর ছিল। একজন হিমাদ্রিবাবু। আর অন্য জন ডায়মন্ড হারবারের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রূপম হালদার। তিনি ওই নম্বরে ফোন করে কার্ডগুলি ফেরত দেন। বাকি ৫টি কার্ড থানায় জমা পড়েছে। হাতে কার্ড পেয়ে খুশি শিশু চিকিৎসক হিমাদ্রিবাবু ও রূপমবাবু।