Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ইছামতী সংস্কারের ডাক দিল প্রশাসন

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর এই তিনদিন বনগাঁ মহকুমা জুড়ে নদী থেকে একযোগে কচুরিপানা তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

রুদ্ধগতি: সংস্কার করা হবে এই নদীরই। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

রুদ্ধগতি: সংস্কার করা হবে এই নদীরই। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

সীমান্ত মৈত্র
বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৪
Share: Save:

ইছামতী নদী সম্পূর্ণ কচুরিপানা মুক্ত করতে পদক্ষেপ করল বনগাঁ মহকুমা প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর এই তিনদিন বনগাঁ মহকুমা জুড়ে নদী থেকে একযোগে কচুরিপানা তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘একদিন ইছামতীর জন্য দিন।’ ওই কাজে মৎস্যজীবী, মাঝি, ক্লাব, পুজো কমিটি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, সাধারণ মানুষ, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত এবং পুরসভাকে যুক্ত করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে কাজটি করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়া, লিফলেট বিলি, এলাকায় বৈঠক করে প্রচার কর্মসূচি চলছে।

কচুরিপানা তোলার কাজে সামিল হওয়ার জন্য মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায়-সহ ব্লক প্রশাসনের কর্তারা মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে মানুষকে বোঝাচ্ছেন, আবেদন করছেন। ইতিমধ্যেই ওই কাজে ভাল সাড়া মিলেছে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি। মহকুমার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নদী কচুরিপানামুক্ত করতে এমন পদক্ষেপ এই প্রথম। তাঁরা মনে করছেন, এর ফলে এ বার হয়ত বাস্তবে নদী সম্পূর্ণ কচুরিপানামুক্ত হতে চলেছে। বহু দিন হল নদী কচুরিপানায় মুখ ঢেকেছে।

অতীতে বিক্ষিপ্ত ভাবে সরকারি বেসরকারি ভাবে নদী থেকে কচুরিপানা তোলা হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। কিছুদিন নদী কচুরিপানামুক্ত থাকে। ফের কচুরিপানায় নদীবক্ষ ভরে যায়। কচুরিপানার মধ্যে ঘাস আগাছা জন্মেছে। দীর্ঘদিন মানুষ নদীর জল দেখেন না। স্নান করা বন্ধ। মৎস্যজীবীরা জীবিকা হারিয়ে বিকল্প পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানালেন, নদীতে কচুরিপানা থাকায়, মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। বিষাক্ত সাপেদের আনাগোনা বেড়েছে। ছড়াচ্ছে জ্বর ও ডেঙ্গি।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদা থেকে বনগাঁ হয়ে গাইঘাটা পর্যন্ত বয়ে গিয়েছে নদী। মহকুমায় ইছামতীর দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। ওই ৮৫ কিলোমিটার পথে একসঙ্গে কচুরিপানা তোলার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন।

একদা স্রোতস্বিনী ইছামতী এখন মৃতপ্রায়। স্রোত নাব্যতা হারিয়ে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। ইছামতীর নাব্যতা হারানোর অন্যতম কারণ কচুরিপানা। ইছামতীর পাশাপাশি নদীর সঙ্গে যুক্ত খাল, বিল, নদী, বাওর, জলাশয়গুলোও মজে গিয়েছে। সার্বিক ভাবে মহকুমার গ্রামীণ অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কচুরিপানা তুলতে তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। মৎস্যজীবী মাঝিমাল্লাদের একটি দল তৈরি করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Icchamatai river Bongaon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE