সন্দেশখালি ধর্ষণকাণ্ডের প্রায় সাত মাস গ্রেফতার হলেন দুই অভিযুক্ত। বিচারের আশায় মৃতার পরিবার।
শাহজাহান বাহিনীকে নিয়ে তখনও রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ অব্যাহত। ওই আবহে ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্দেশখালির একটি পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা এবং কোমরে ইট বাঁধা অবস্থায় এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। যুবতীর পরিবার দাবি করে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। তার পর প্রমাণ লোপাট করতে এই ভাবে দেহ জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালির ওই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তদন্ত শুরু করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ দিন ধরে তদন্তের পর অবশেষে দুই যুবক গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতেরা স্থানীয় বাসিন্দা বলে খবর। সোমবার তাঁদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগের কয়েক দিন ‘নির্যাতিতা’ একাই ছিলেন বাড়িতে। তাঁর দেহ উদ্ধারের তিন দিন আগে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। কোথাও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল পরিবার। তারও তিন দিন পরে অর্থাৎ, ৭ ডিসেম্বর এলাকার একটি পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা এবং পেটের কাছে ইট বাঁধা অবস্থায় যুবতীর দেহ পাওয়া যায়। বসিরহাট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে অভিযুক্তদের খোঁজখবর করার পরে সোমবার সকালে স্থানীয় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের এক জনের সঙ্গে যুবতীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর এক জন যুবতীর পূর্বপরিচিত। তাঁদের এক জনের বাড়িতে থাকতেন ওই যুবতী।
আরও পড়ুন:
সোমবার ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করায় পুলিশ। তবে বিচারক দু’জনকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।