এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পুলিশকর্মী কম বলে দাবি জেলা পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের। তার উপরে, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্বে প্রতিটি ব্লক কার্যালয়ে মোতায়েন করতে হয়েছে প্রচুর পুলিশকর্মী। এই প্রেক্ষিতে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে রবিবার ঠাকুরনগরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য রাজনীতির পরিবেশ কিছুটা তপ্ত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে অভিষেকের কর্মসূচি উপলক্ষে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা কঠিন পরীক্ষায় বসতে চলেছি।’’
মঙ্গলবার ভাঙড়ের চণ্ডীপুর থেকে কর্মসূচির সূচনা করবেন অভিষেক। চার দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে শুক্রবার নামখানার ইন্দিরা ময়দানে কর্মসূচি শেষ হবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের কর্মসূচিতে কোনও অশান্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে জেলার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। অভিষেকের যাত্রাপথে, রাস্তার দু’পাশে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, “মনোনয়ন জমা চলছে। ব্লক কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। ফলে, বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করতে হচ্ছে সেখানে। স্পর্শকাতর এলাকাতে টহলও দিতে হচ্ছে। এ সবের মধ্যে এই কর্মসূচি পুলিশের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। বাড়তি পুলিশকর্মী জোগাড় করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে চণ্ডীপুর থেকে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে আসবেন অভিষেক। সেখান থেকে আসবেন সোনারপুর দক্ষিণের চম্পাহাটি তেমাথায়। তার পরে, হেঁটে পৌঁছবেন বারুইপুর পূর্বের ফুলতলা মোড়ে। সেখানে দুর্গামন্দিরে পুজো দিতে পারেন অভিষেক। বারুইপুরের রামনগরে তাঁর রাত্রিবাসের কথা। বুধবার বিকেলে রামনগর থেকে ক্যানিং হয়ে কুলতলি, জয়নগর ছুঁয়ে মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গঙ্গামেলার মাঠে আসবেন তিনি। বৃহস্পতিবার রায়দিঘি, মন্দিরবাজার হয়ে যাবেন ডায়মন্ড হারবারে। শুক্রবার যাবেন কাকদ্বীপে। সেখানে একটি কালীমন্দিরে অভিষেকের পুজো দেওয়ার কথা। তার পরে ‘নবজোয়ার যাত্রা’ পৌঁছবে ইন্দিরা ময়দানে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন অভিষেক।
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লা বলেন, “নবজোয়ার যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য মানুষ মুখিয়ে রয়েছেন।” বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীপ দাসের কটাক্ষ, “এ সব করে লাভ নেই। পারলে মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দিন।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)