Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি-বোমা

মেছোভেড়ির দখলকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব  প্রকাশ্যে এল।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মেছোভেড়ির দখলকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।

সোমবার সকালে হাড়োয়ার শ্যামলা গ্রামে দু’পক্ষের গন্ডগোল বাধে। তাতে বোমা-গুলি চলে। বারো বছরের এক কিশোর-সহ আহত হয়েছেন আট জন। দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তিনজনের গুলি লেগেছে। তাঁদের আরজিকরে পাঠানো হয়েছে। আহত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিরাজ গাজি। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি-বোমা ছুড়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলা গ্রামে ভূপেন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির মেছোভেড়ি আছে। দীর্ঘদিন ধরে সিরাজ গাজি ওই মেছোভেড়ির দেখভাল করেন। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর দাবি, মেছোভেড়ি লিজ দিয়ে চাষিদের মাসে ১৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। সেখানে মাত্র এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। দল দেখিয়ে চাষিদের ঠকানো হচ্ছে। এ ভাবে চলতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিরাজ গাজি এবং তৃণমূল নেতা শেখ সাহেবের লোকজনদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। মাঝেমধ্যেই মারধর, বোমাবাজি, গন্ডগোল হয় বলে দাবি এলাকাবাসীর।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ এক পক্ষ ওই মেছোভেড়ির মাটি কাটতে আসলে অন্য পক্ষ বাধা দেয়। শুরু হয় বোমাবাজি। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বছর বারোর সাজিদুল মোল্লার পায়ে গুলি লাগে। গোলাগুলিতে আহত হন কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সোহারাব খাঁ, সাজিদুল এবং সিরাজুল শেখকে প্রথমে হাড়োয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কলকাতার আরজিকরে পাঠানো হয়।

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ, শেখ সাহেব সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকাতে নানা ভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করছে। প্রতিবাদ করায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রামের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল বলে সে বোমা ও গুলি ছুড়তে শুরু করে। এলাকার দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করে।’’ এই অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ সাহেব বলেন, ‘‘মেছোভেড়ির জমির উপযুক্ত লিজের টাকা না দিয়ে গরিব মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। তার প্রতিবাদ করলে দলের কয়েকজন নেতা লোকজন নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।’’

TMC Basirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy