প্রতীকী ছবি।
আবাস যোজনা প্রকল্পে এ বার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত মালদহের চাঁচলের গৌরহণ্ড পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতের এক বিজেপি সদস্যার স্বামী তাঁদের কাছ থেকে দু’দফায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সদস্যার স্বামীর একটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে থেকেই উপভোক্তারা টাকা লেনদেন করেন। সেখানেই তাঁদের ‘টিপ সই’ নিয়ে আবাস যোজনার টাকা তুলে নিয়েছেন সদস্যার স্বামী। ফলে তাঁরা বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না বলে দুই উপভোক্তা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রশাসনের কাছে বাসিন্দাদের একাংশেরও লিখিত অভিযোগ, সদস্যার স্বামী ১০০ দিনের কাজ ও একাধিক প্রকল্পে টাকা নিয়ে দুর্নীতি করছেন। সদস্যার স্বামী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চাঁচল ২ ব্লকের বিডিও অমিতকুমার সাউ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। প্রশাসনের তরফে সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
অভিযোগ, স্ত্রী হাসি প্রামাণিক সদস্যা হলেও স্বামী নিমাই প্রামাণিক কার্যত পঞ্চায়েতের কাজকর্ম করেন। বোয়ালিয়া এলাকার দুই উপভোক্তার এক জন রীতা দাসের অভিযোগ, ‘‘প্রথমে অফিসে দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে মাটি ভরাট করার টাকা এলে সেখানে থেকে ১৩ হাজার নেওয়া হয়।’’ অন্য উপভোক্তা শেফালি মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকেও দু দফায় ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
সুভাষ সরকার, কাশীনাথ থোকদাররা জানান, ১০০ দিনের প্রকল্পে অসুস্থ, প্রবীণ যাঁরা কাজ করেননি, তাঁদেরও অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতেও ২-৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন নিমাই।
যদিও দুর্নীতি, কাটমানির অভিযোগ অস্বীকার করে নিমাই বলেন, ‘‘তৃণমূলের স্থানীয় কয়েক জনের দাবিমতো টাকা দিতে না পারায় মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, ‘‘কাটমানি তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমরা দুর্নীতির বিপক্ষে। ওখানে সদস্যার স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
তৃণমূলের চাঁচল ২ ব্লকের সহ-সভাপতি আদিত্যনারায়ণ দাস বলেন, ‘‘ওখানকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল করেনি। তৃণমূলকে টেনে ওঁরা নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে চাইছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy