এ ভাবেই পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে লঞ্চটি। —নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী পারাপারে সুবিধার জন্য বছর চারেক আগে হিঙ্গলগঞ্জে আনা হয়েছিল একটি লঞ্চ। কিন্তু অভিযোগ, এত দিনেও সেই লঞ্চ ব্যবহার করা হয়নি। পড়ে থেকে কার্যত নষ্ট হচ্ছে লঞ্চটি। ঝুঁকি নিয়ে নৌকাতেই সাহেবখালি নদী পারাপার করছেন এলাকার মানুষ।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় চার বছর আগে রাজ্য পরিবহণ দফতর থেকে কয়েক লক্ষ টাকার ওই লঞ্চটি হিঙ্গলগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল। কথা ছিল, হিঙ্গলগঞ্জের নেবুখালি থেকে দুলদুলির মধ্যে জলপথে যাত্রী পারাপারের কাজ করবে লঞ্চটি। দুলদুলি, সাহেবখালি, গোবিন্দকাটি, কালীতলা ও যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ রোজ এই পথ ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। নদী পারাপারের জন্য নৌকাই সম্বল। বাইক, সাইকেলও নৌকায় তুলে নদী পারাপার করা হয়। ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীও ওঠে বহু নৌকায়। লঞ্চ চালু হলে নদী পারাপারে ঝুঁকি কমবে বলেই দাবি নিত্যযাত্রীদের।
কিন্তু অভিযোগ, আসার পর থেকেই হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক অফিসের পাশে খালের মধ্যেই লঞ্চটি পড়ে রয়েছে। একদিনও যাত্রী পারাপারের কাজে সেটি ব্যবহার হয়নি। পড়ে থেকে লঞ্চের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ। লঞ্চের পাটাতনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়েছে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের সময় লঞ্চের পাটাতনের অনেকটা অংশ জলে ডুবে থাকে। জল-কাদা লঞ্চের ভিতরে জমে জমে বিভিন্ন অংশ খারাপ হচ্ছে। ভিতরে বসার জায়গা এবং রেলিং নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা কাঠামোটাই এখন ভাঙাচোরা অবস্থা।
হিঙ্গলগঞ্জের বিজেপি নেতা গোবিন্দ অধিকারী বলেন, “ঝড়-জলের দিনে নৌকা করে নদী পারাপার করা খুবই বিপজ্জনক। তবুও এই লঞ্চ চালু করতে উদ্যোগী হল না প্রশাসন। আসলে নৌকা-মালিক ও কিছু রাজনৈতিক নেতার স্বার্থের জন্যই এই লঞ্চ চালু করা হয়নি।”
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সইদুল্লা গাজি বলেন, “দুলদুলির দিকে ভাসমান জেটিঘাট থাকলেও নেবুখালির দিকে আজও তৈরি হয়নি। এই লঞ্চ ভাসমান জেটিঘাট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। সেই কারণেই লঞ্চটি ব্যবহার করা হয়নি। তা ছাড়া এই লঞ্চ চালাতে বিপুল পরিমাণ খরচ। যা বহন করা কঠিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy