ভোগান্তি: অবরোধে আটকে পড়েছেন যাত্রীরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
ট্রেন বাতিলের প্রতিবাদে শনিবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে বেতবেড়িয়া ঘোলা স্টেশনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। প্রায় দু’ঘণ্টা ক্যানিং লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এ দিন ৫টা ৫০ মিনিটের আপ ক্যানিং-শিয়ালদহ লোকাল বাতিল করা হয়। মালগাড়ি চলাচলের কারণে ওই ট্রেন বন্ধ থাকবে বলে শুক্রবারই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করে জানানো হলেও, বেতবেড়িয়া ঘোলা স্টেশনে সেই ঘোষণা হয়নি। সকালে ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্মে এসে ট্রেন বাতিলের কথা জানতে পারেন নিত্যযাত্রীরা।
এরপরেই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় ট্রেনের ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অবরোধকারীরা জানান, করোনা পরিস্থিতির পরে লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও ভোর ৩টে ৪২ মিনিটের আপ ক্যানিং-শিয়ালদহ লোকাল ও ৬টা ৩০ মিনিটের আপ ক্যানিং-সোনারপুর লোকাল এখনও বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই ট্রেনগুলির যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন।
অবরোধকারী শুভেন্দু দাস বলেন, “সকালে দু’টি ট্রেন বাতিল রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অন্যান্য ট্রেনগুলিতে যথেষ্ট ভিড় ঠেলে যাতায়াত করতে হয়। তার উপরে এদিন আগে থেকে না জানিয়ে আরও একটি ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। এর ফলে আমরা কাজে যেতে পারলাম না।”
অবরোধের জেরে ক্যানিং শাখার বিভিন্ন স্টেশনে আপ ও ডাউন ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন অনেকে। খবর পেয়ে ক্যানিং ও সোনারপুর থেকে আরপিএফ ও জিআরপি এবং বারুইপুর থানার পুলিশ এসে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। বাঁশ দিয়ে ওভারহেডের তার থেকে কলাপাতা সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
পূর্বরেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “রেলের কাজের জন্য মালগাড়ি ঢোকায় এ দিন একটি ট্রেন বাতিল ছিল। সে জন্যই বেতবেড়িয়া ঘোলা স্টেশনে অবরোধ হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দু’জোড়া আপ ও ডাউন ট্রেন চলাচলে দেরি হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy