মাত্র কয়েক মাস তৈরি হয়েছে কাকদ্বীপ মডেল আদালত। এর মধ্যেই লিফ্ট বন্ধ হওয়া থেকে শুরু করে ছাদে, দেওয়ালে ফাটল অপরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে নানা রকমের খামতি সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি (স্বরাষ্ট্র)-র সদস্যেরা। এ দিন তাঁরা কাকদ্বীপ আদালত ঘুরে দেখে রিপোর্ট তলব করেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে। কাকদ্বীপ এবং হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানাও ঘুরে দেখে কমিটি।
এর আগেও আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছিল, আদালত বাড়ির নানা সমস্যার কথা। এ দিন কমিটির সদস্যেরা এসে সে সব দেখে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কমিটির প্রধান তথা ফলতার বিধায়ক তমনাশ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম, পূর্ত দফতরের বাস্তুকারেরা কোনও রেকর্ড দেখাতে পারলেন না। তাই তাঁদের নথি প্রমাণ-সহ বাস্তুকারকে ২২ আগস্ট পাঠানো হবে বিধানসভায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ঘুরে যা দেখলাম, আর কাগজে যা রয়েছে— তার মধ্যে অমিল দেখা গেলে কৈফিয়ত নেওয়া হবে।’’ এ দিন কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিধায়ক রচপাল সিংহ এবং বিধায়ক তাপস রায় ছাড়াও ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। জানা গিয়েছে, মডেল আদালত, বিচারক আবাসন, দেওয়াল রাস্তা তৈরিতে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের ৭৫ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু এক কিস্তির পরে আর কেন্দ্রীয় অনুদান আসেনি। তমোনাশবাবু জানান, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। কাকদ্বীপ থানার আবাসনে নিয়মিত ভাবে চাঙড় ভেঙে পড়ে জখম হচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। জরাজীর্ণ বাড়ি যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে তমোনাশবাবু, মন্টুবাবুরা জানান, কাকদ্বীপ থানাকেও মডেল থানা হিসেবে গড়ার জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যেই যাতে নতুন আবাসন থাকে, সেই প্রস্তাব দেওয়া হবে। হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় নাইট ভিশন, শক্তিশালী দূরবীন-সহ জলযান প্রয়োজন বলে মনে করেন কমিটির সদস্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy