ছবি: সংগৃহীত
আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধিতে রাশ টানা যাচ্ছে না বলে দমদম এলাকার পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকায় লকডাউন চালু করছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। আজ, সোমবার থেকে নোয়াপাড়া থানা এলাকায় বেলা ১১টার পর থেকে লকডাউন চালু হবে। পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নৈহাটি পুরসভা এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের জন্য লকডাউন হবে। পুরসভা, পুলিশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি যৌথ ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “কোন কোন থানা এলাকায় সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, তা আমরা খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দমমদ এবং নিমতা থানা এলাকায় সংক্রমণ সব থেকে বেশি। তারপরে রয়েছে বরাহনগর, খড়দহ এবং নোয়াপাড়া থানা এলাকা। বরাহনগর এবং খড়দহে ইতিমধ্যে কন্টেনমেন্ট এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়াপাড়া থানা এলাকায় আমরা বিধিনিষেধ আরোপ করছি।”
নোয়াপাড়া থানা এলাকার মধ্যে রয়েছে গারুলিয়া পুরসভা এবং উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার একাংশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার বেলা ১১টার পর থেকে বাজার-হাট, দোকানপাট সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারপরে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। বড় রাস্তা ছাড়া শহরের সব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। অটো-টোটো এমনকী, বাইক এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে জরুরি কাজে ছাড় দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ব্যারাকপুর এবং গারুলিয়া পুর এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে এই দু’টি পুরসভার কোনও এলাকাকেই কন্টেনমেন্ট ঘোষণা করা হয়নি। তার ফলে বাজার এবং রাস্তার ভিড়ে রাশ টানা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে পুলিশ নতুন নতুন এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসেবেই নোয়াপাড়া থানা এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করল পুলিশ।
নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেই পুরসভা, পুলিশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছিল। সেখানে সকলেই এক মত হন, সাত দিনের জন্য লকডাউন করে ভিড়ে রাশ টানা দরকার। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের জন্য পুর এলাকার সব বাজারহাট বন্ধ থাকবে। অফিস-কাছারি খোলা থাকলেও অটো-টোটো, বাইক, ছোট গাড়ি বন্ধ থাকবে। তবে ফেরি সার্ভিস চালু থাকবে। চলবে বাসও। মূলত বাজার এবং দোকানগুলিতে স্থানীয় ভাবে ভিড় ঠেকানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত।’’
এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, অফিস খোলা থাকলেও ছোট গাড়ি না চললে যাতায়াত তী ভাবে করবেন মানুষ।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। অন্য অফিসের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy