আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে খুশির হাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। সকাল সকাল নামখানার খেয়াঘাটে ফিরে এসেছে ২৫টি ট্রলার। সঙ্গে এসেছে প্রায় ২৫ টন ‘রুপোলি শস্য।’ এই মরসুমের প্রথম ইলিশ শীঘ্রই বাজারে চলে আসবে। চাঙ্গা হল জেলার গোটা মৎস্যজীবী সমাজ। তাদের আশা, আবহাওয়া এই রকম থাকলে আরও ইলিশ ধরা দেবে জালে।
সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে ফিরে এসেছে অন্তত ২৫টি ট্রলার ফিরেছে। ওই ট্রলারগুলিতে বিভিন্ন মাছের সঙ্গে রয়েছে ২৫ টন ইলিশ। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলেই মৎস্যশিকার ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে। মরসুমের প্রথম দফার ইলিশ ধরায় এমন ‘ফলাফল’ দেখে খুশি তাঁরা। ট্রলার থেকে নেমে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘যদি এমন আবহাওয়া বজায় থাকে, তা হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাজার আরও ইলিশে ভরে উঠবে।’’
কাকদ্বীপ ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতিও একই কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই মরসুমের শুরুতেই যে পরিমাণ ইলিশ এসেছে, তাতে আমরা আশাবাদী। আবহাওয়া এখন অনুকূল। আরও ভাল পরিমাণে মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’
ইলিশপ্রেমীদের মুখে হাসি ফুটছে তা হলে? মৎস্যজীবী সংগঠন সায় দিল। তবে ইলিশের দাম এখনও বেশ কিছুটা চড়া থাকবে। তবে আশ্বাসের সুরও শোনা গেল। জানা যচ্ছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ শুরু হলেই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে ‘রুপোলি শস্য।’
আরও পড়ুন:
একসঙ্গে এত ইলিশ ওঠায় ট্রলারমালিক থেকে মাঝিরাও বেশ উৎসাহিত। কারণ, গত কয়েক বছর ধরেই প্রথম পর্যায়ের ইলিশ খুব কম পরিমাণে উঠেছে। এ বছর ওই হতাশা কাটিয়ে আশার আলো দেখছেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে উৎফুল্ল স্থানীয়েরা। ইলিশের গন্ধে ভরে উঠেছে সাগরের হাওয়া!